ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত : হাসিবুল হোসেন

সিলেটের অভিষেক টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দল। দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কারণে জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে ১৫১ রানে পরাজিত বাংলাদেশ। দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে রীতিমতো হতাশ সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা।

জাতীয় দলের সাবেক তারকা পেস বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘টিম হিসেবে বাংলাদেশ এতটা দুর্বল নয়। তারা আরও ভালো খেলার সামর্থ্য রাখে। আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত ছিল।’

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলেও টেস্টের আভিজাত্যের ফর্মেটে এখনও সেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেনি বাংলাদেশ। কালেভদ্রে ভালো খেললেও সেই ভালোর ধারাবাহিতা ধরে রাখতে পারছেন না টাইগাররা। যে কারণে হোম কন্ডিশনে জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলকে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ যে ধরনের ক্রিকেট খেলে আসছে তাতে একটা টেস্ট দেখে মূল্যায়ন করাটা ঠিক হবে না। তারা আরও ভালো খেলার সামর্থ্য রাখে।’

জিম্বাবুয়ে যেখানে দুই পেসার নিয়ে খেলেছে সেখানে এক পেসারকে খেলিয়েছে বাংলাদেশ দল। আর যে পেস বোলারকে খেলানো হয়েছিল, তার অভিজ্ঞতা মাত্র দুই টেস্টের। তাই প্রশ্ন উঠেছে ম্যাচটিতে এক পেসার খেলানোর যৌক্তিকতা নিয়েও।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের সাবেক তারকা পেস বোলার হাসিবুল বলেন, ‘সিলেট টেস্টে দুইজন পেসার খেলানো হলে ভাল হতো। প্রতিটি টেস্টেই দু’জন পেস বোলার ও একজন স্ট্রাইক বোলার খুবই দরকার।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮২/১০ (উইলিয়ামস ৮৮, পিটার মুর ৬৩* মাসাকাদজা ৫২; তাইজুল ৬/১০৮)। এবং দ্বিতীয় ইনিংস: ১৮১/১০ (মাসাকাদজা ৪৮; তাইজুল ৫/৬২, মিরাজ ৩/৪৮।)।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৩/১০ (আরিফুল ৪১*, মুশফিক ৩১; চাতারা ৩/১৯, সিকান্দার ৩/৩৫)। এবং দ্বিতীয় ইনিংস: ১৬৯/১০ (ইমরুল ৪৩, আরিফুল ৩৮; মাবুতা ৪/২১, সিকান্দার ৩/৪১।)।

ফল: জিম্বাবুয়ে ১৫১ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: শেন উইলিয়ামস (জিম্বাবুয়ে)।

উল্লেখ্য, সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী রোববার শুরু হবে।