ব্রণ থেকেই হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি!

ব্রণের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভোক্তভুগি। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হলে ব্রণ হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা, সৌন্দর্য নষ্ট করতে ব্রণ অনেকাংশেই দায়ী। ব্রণের ভয়ে রীতিমতো কাবু তরুণ প্রজন্ম।

দ্যা হেলথ ইম্প্রুভমেন্ট নেটওয়ার্কের একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, টানা এক বছর ধরে যদি কারোর ব্রণ না সারে তবে অনেকক্ষেত্রে সেটা ক্রনিক বিষণ্ণতায় পরিণত হয়।

গবেষকরা আরও বলছেন, ত্বকের কোনওরকম রোগের সঙ্গে মানসিক রোগের সম্পর্ক খুব গভীর। তাই ত্বকের কোনও সমস্যা হলে, সেটা সবার আগে মনের উপর প্রভাব ফেলে। তাই আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভোগেন তবে আজই সেটা গোড়া থেকে নির্মূল করার চেষ্টা শুরু করে দিন। ভাবছেন কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায়:

কাঁচা হলুদ এবং চন্দন, ব্রণ সারাতে খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। তাই সমপরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা এবং চন্দন একত্রে নিয়ে, এতে পরিমাণ মত জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেটা ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে, কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণ দূর করার কাজ করে না সেইসঙ্গে ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রসও খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ুর্বেদিক গুণ। তাই তুলসী পাতা বেটে, সেই রস ব্রণতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা গরম জলে মুখটা ধুয়ে নিতে হবে। এরকমভাবে সাত থেকে দশ দিন করলে ব্রণ এমনিই সেরে যাবে।

চন্দন, কাঁচা হলুদ বা তুলসী পাতা বাড়িতে না থাকলে, নিম পাতা দিয়েও কাজ চলতে পারে। চার-পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। তারপর এরমধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন এবং এটা মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা শুকিয়ে গেলে হালকা জলে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।

এছাড়া কারোর যদি মাঝেমধ্যেই ব্রণ হয় তবে তাঁর কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত –

যেমন, বাইরে থেকে ফিরেই ভালভাবে মুখ ধোয়া উচিত। সপ্তাহে অন্তত একদিন স্ক্রাব করা উচিত। নিয়ম করে তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া উচিত। আর সব থেকে বড় বিষয় হল, দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমতে হবে।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে একদিকে যেমন ব্রণ সারবে, অন্যদিকে তেমন ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। আর তাতে আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগলে, এমনই আপনার মন মেজাজ থাকবে ফুরফুরে।