ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভীবাজারে সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ

দেশের দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ অটোযাত্রী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তিনজন এবং মৌলভীবাজারে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন অটো দুটির চালক এবং তিনজন যান দুটির যাত্রী ছিলেন। বাসের নিচে সিএনজি দুটি চাপা পড়লে তারা নিহত হন।

আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, শনিবার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে জেলার সরাইল উপজেলার মালিহাতা এলাকায় বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে নসর মিয়া (১৬), ফারুক মিয়ার ছেলে আরমান (১৭) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক একই এলাকার লুক্কু মিয়ার ছেলে সাইদুল (১৯)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মালিহাতা বাজারে একটি অটোরিকশা রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস অটোটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই অটোযাত্রী নসর মিয়া মারা যায়। আশপাশের লোকজন অটোচালক সাইদুল ও যাত্রী আরমানকে উদ্ধার স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে আরমানকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সাইদুলকে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

সরাইল বিশ্বরোড খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় বাসটি জব্দ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

অন্যদিকে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মৌলভীবাজারে বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন অটোচালক, অন্যজন ওই যানটির যাত্রী।

নিহতরা হলেন, চালক তারেক মিয়া (২২)। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার নোয়াগাঁও গ্রামের তাহির আলীর ছেলে। অন্যজন বালাগঞ্চ থানার আতাসন গ্রামের তাহিদ আলীর ছেলে নেপু মিয়া (৫০)।

মৌলভীবাজার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) মুজিবুর রহমান জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে একটি অটোরিকশা শ্রীমঙ্গল যাচ্ছিল। শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় আসার পর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রূপসী বাংলা পরিবহন একটি বাসের সঙ্গে অটোটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোচালক ও এক যাত্রী নিহত হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।