ব্লু -ইকোনমি ঘিরে অর্থনীতির নতুন সম্ভবনা দেখছে বাংলাদেশ

ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্র সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সাগরের অজস্র জলরাশি ও এর তলদেশের বিশাল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের স্বপ্ন পূরণে এক অর্থনৈতিক বিপ্লব। বিশাল সমুদ্র জয়ের পর এবার সে বিপ্লব বাস্তবায়নের রোডম্যাপে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সমুদ্র অর্থনীতি ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে দেশ।

সাগরের সম্পদ আহরণে একদিকে নেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কর্মপন্থা। অন্যদিকে উপকূলীয় দেশগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে কার্যকরী পরিকল্পনা। এরইমধ্যে সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থায়ী একটি ব্লু-ইকোনমি সেল গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে অনুসন্ধান চালাতে খুব শিগগিরই একটি জাহাজও কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বাংলাদেশ ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল, ২০০ নটিক্যাল মাইলের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর্তৃত্ব পায়। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠারও অধিকার পায় বাংলাদেশ।

সমুদ্রের এই অধিকার সূত্রে বিদ্যমান সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয়ের ফলে সমুদ্রে আমাদের সীমানা বেড়েছে, তেমনি এ সমুদ্র এলাকায় অনেক সম্পদ রয়েছে। এ সম্পদ ব্যবহারে মানবসম্পদ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে কার্যকরী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেরে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর সরকার এ বিশাল অঞ্চলের সম্পদ আহরণের জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করে। ২০১৪ সালেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালা, যেখানে ১৯ দেশ থেকে ৩২ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। অতিথিদের উপস্থিতিতেই সমুদ্রের সম্পদ কাজে লাগানোর ব্যপারে প্রতিজ্ঞ হয় বাংলাদেশ।

সূত্র বলছে, গভীর সমুদ্রের ন্যায্য অধিকার পাওয়ায় মৎস্য আহরণের বিপুল সম্ভাবনাও দেখছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, এ অঞ্চলের টুনা মাছ সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। সুস্বাদু ও দামী এই মাছটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানের হোটেলগুলোতে আমদানি করা হয়ে থাকে। টুনা মাছের বিচরণ গভীর সমুদ্রে। মালিকানা অধিকারে বাংলাদেশের ফিশিং ট্রলার এখন গভীর সমুদ্রে টুনাসহ অন্যান্য মাছ আহরণের সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী ৩ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা আসে মৎস্য আহরণের মাধ্যমে।

মৎস্য আহরণের পাশাপাশি সমুদ্রের তীরবর্তী পর্যটনকেন্দ্রের মাধ্যমেও অর্থনৈতিক বিপ্লবের কথা ভাবছে বাংলাদেশ। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গড়ে এক হাজার হেক্টর করে ভূখণ্ড বাড়ছে। ব্লু-ইকোনমি রূপরেখা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সমুদ্রে ভূখণ্ড (ডেন্টা প্ল্যান) আরও বাড়ানো সম্ভব। কৃত্রিমভাবে বাঁধ তৈরি করে পলিমাটি জমাট/চর জাগানোর মাধ্যমে সৃষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে মালদ্বীপের মতো দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলাও সম্ভব। এতে দেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিকতা পাবে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচির ও ব্লু-ইকোনমি সেলের সমন্বয়ক গোলাম শফিউদ্দিন এনডিসি বলেন, মিয়ানমার থেকে সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে আমরা যে জায়গার অধিকারী হয়েছি, সেখানে বিপুল পরিমান সমুদ্র সম্পদ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণের জন্য আমাদের সে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। কেননা এসডিজি’র ১৪ নম্বর ধারাই টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

সে লক্ষ্যে অস্থায়ী ব্লু-ইকোনমি সেল থেকে এখন স্থায়ী ব্লু ইকোনমি সেল গঠনের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে স্থায়ী ব্লু-ইকোনমি সেল গঠন হতে পারে। এটা হলে আমাদের কাজের গতি বেড়ে যাবে। সরকারের গুরুত্ব আর আমাদের এ কাজের গতি ধরে রাখতে পারলে আগামীতে বাংলাদেশ ব্লু ইকোনমিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমার বিশ্বাস।

ব্লু -ইকোনমি সেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক আরিফ মাহমুদ জানান, সমুদ্র সম্পদ বা ব্লু -ইকোনমি বিষয়ে আমাদের খুশির খবর হলো দীর্ঘ ৯ মাসের সেল গঠনের মাধ্যমে আমরা অনেক এগিয়েছি। সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে ১৭ মন্ত্রণালয় ও ১০টি অধিদপ্তরের মধ্যে কাজের সমন্বয় আনতে পেরেছি। আগে এ সমন্বয়ের অভাবে কাজ এগোচ্ছিল না। এখন নিয়মিত মিটিং হচ্ছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোকে কাজের পরিধি ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বরও এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কয়েকটা জাহাজ কেনার পরিকল্পনা আছে। এরই মধ্যে দু’টা জাহাজ কেনার চিন্তাভাবনা এগিয়ে যাচ্ছে। একটা হচ্ছে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ভূতাত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মাধ্যমে। আমাদের দেশের মাটির নিচে থাকা সম্পদগুলোর আহরণের কাজ ভূতাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর দেখে। আর গভীর সমুদ্রে তেল এবং গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স করে থাকে। তবে এ কাজগুলো করার জন্য এতোদিন আমাদের বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হয়েছে। এখন বাংলাদেশ নিজস্ব জাহাজ কিনবে।অন্যটা হচ্ছে সমুদ্রের ভূতাত্ত্বিক বিষয় অনুসন্ধানের জন্য। এটার মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে খনিজ সম্পদ আদৌ আছে, কী নেই সেটা জানা যাবে।

এছাড়া পেট্রোবাংলা এবং বাপেক্স আরেকটি জাহাজ কেনার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেটাকে বলা হয় মাল্টি রোল ভ্যাসেল। ব্যবহৃত এ জাহাজ দিয়ে বিভিন্নমুখী গবেষণা আমরা করতে পারবো। মাল্টি রোলের মধ্যে আছে, টুডি এবং থ্রিডি সাইজ মিক্স জরিপ করার যন্ত্র ও বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক গবেষণাগার। এ জাহাজে একাধিক বিভাগ একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।

সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানে জাহাজ কেনার বিষয়টি কতদূর অগ্রসর? এমন প্রশ্নে ব্লু -ইকোনমি সেলের সহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ আহমেদ জানান, জাহাজ কেনার জন্য যে কনসালটেন্স নিয়োগ প্রাপ্ত বা যাদের কাছ থেকে জাহাজ কেনা হবে, তাদের প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই হচ্ছে। আগামী ২০১৮ সালের মধ্য জাহাজটি কেনা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।এটা কেনা হলে আমাদের অনুসন্ধান কাজ দ্রুত আগাবে। সমুদ্র সম্পদ আহরণের দ্বারও উম্মুক্ত হয়ে যাবে।

সাগরের এ সম্পদ আহরণে দেশকে সমৃদ্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে গত বছরের আগস্টে চুক্তি করেছে সরকার। জানা গেছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইইউর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ চুক্তির আওতায় আগামী দুই বছর সমুদ্র অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ গবেষণা করবে সমুদ্র গবেষণায় দক্ষ ইইউ। এরপর এ সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশমালা তুলে ধরা হবে। এ গবেষণায় এরই মধ্যে একজন ফরাসি ও একজন বাংলাদেশী গবেষক কাজ শুরু করেছেন এবং সরকার তাদের সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

এ ছাড়া সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সমুদ্রসীমার ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও চীনের সঙ্গে পৃথক সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় দিল্লির সঙ্গে এবং গত বছরের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সফরের সময় চীনের সঙ্গে সমুদ্র সম্পদ বিষয়ক সহযোগিতার জন্য পৃথক সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বঙ্গোপসাগর এবং ‘ব্লু -ইকোনমি’ দেশকে উন্নতির নতুন ধাপে নিয়ে যাবে। মেরিটাইম বা সাগর সংক্রান্ত বিদ্যা আয়ত্ব করার মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে নতুন অর্থনৈতিক দুয়ার উন্মোচন করা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশের অর্জিত বিশাল সমুদ্র এলাকায় শিগগিরই সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামীতে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তুলবে ব্লু -ইকোনমি।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ভবিষ্যতের অর্থনীতির রূপরেখা প্রণয়নের জন্য টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে ব্লু-ইকোনমি বা নীল অর্থনীতির ধারণা দেন। পৃথিবীর দেশগুলো তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত চাহিদা মেটাতে তাকিয়ে আছে সমুদ্রবক্ষে সঞ্চিত সম্পদের দিকে।

গবেষণা সূত্রগুলো বলছে, ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটি। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর খাবার যোগান দিতে তখন সমুদ্রের মুখাপেক্ষী হতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সমুদ্র অর্থনীতি বহুবিধভাবে অবদান রেখে চলেছে। বছরব্যপী ৩ থেকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে সমুদ্রকে কেন্দ্র করে। বিশ্বের ৪শ ৩০ কোটি মানুষের ১৫ ভাগ প্রোটিনের যোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু। পৃথিবীর ৩০ ভাগ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ হচ্ছে সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে সমুদ্র নির্ভর ঔষধশিল্পও গড়ে তোলা সম্ভব।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে ব্লু-ইকোনোমি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিগত বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে এ বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। এর মধ্যে ২০১২-এ রিও+২০, সমুদ্র বিষয়ক এশীয় সম্মেলন, ২০১৩ সালে বালিতে অনুষ্ঠিত খাদ্য নিরাপত্তা এবং ব্লু-গ্রোথ ইত্যাদি সম্মেলনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অর্থনৈতিক সহায়তা এবং উন্নয়ন সংস্থা, জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি, বিশ্বব্যাংক, এফএও, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উন্নয়ন কৌশলের মূলেও থাকছে ব্লু-ইকোনোমি।

সংবাদ মাধ্যমের সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট বড় দেশ ব্লু-ইকোনোমি নির্ভর উন্নয়ন কৌশল প্রণয়ন করছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অর্থনীতির সিংহভাগ সমুদ্র নির্ভর। সম্প্রতি দেশটি এমনকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা গেলে সমুদ্র থেকে আহরিত সম্পদের মূল্যমান জাতীয় বাজেটের দশগুণ হবে। অস্ট্রেলিয়া সমুদ্রসম্পদ থেকে বর্তমানে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। যা আগামীতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওইসব দেশগুলোর সমুদ্র সম্পদের সমৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে সমুদ্র নির্ভর ব্লু-ইকোনোমির মাধ্যমে। সমুদ্র বিজয় সে সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করেছে।