বড় স্কোরের ভিত গড়ে ফিরলেন সাকিব

তামিমের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন সাকিব। দারুণ খেলছিলেন তিনি। মুশফিকের কাছ থেকে যোগ্য সঙ্গও পাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে তাদের জুটি জমাট বেঁধে উঠছিল। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে খেই হারিয়ে ফেললেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

দলীয় ২২৭ রানে গুনারত্নের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরলেন সাকিব। ফেরার আগে ৬৩ বলে ৭ চারে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ব্যাটিং পজিশন তিনে এটি তার প্রথম এবং ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬তম ফিফটি।

শেষ খবর পর্যন্ত ৪০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৪৩ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ৩৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৭ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তবে সাবলীল ছিলেন না বিজয়। প্রথম ওভারেই সুরঙ্গা লাকমলের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। তবে তা মুঠোবন্দি করতে পারেননি কুশল মেন্ডিস।

এর পর একাধিক লাইফ পেয়েছেন বিজয়। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি আড়াই বছর পর দলে ফেরা এ ওপেনার। খাবি খেতে খেতে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে। দলীয় ৭১ রানে থিসারা পেরেরার বাউন্সার খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে নিরোশান ডিকভেলাকে ক্যাচ দেন তিনি।

বিজয়ের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এগিয়ে যান তামিম। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। দুজনের ব্যাটেই ছুটছিল রানের ফোয়ারা। তাদের ব্যাটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ।

তবে হঠাৎই থেমে যান তামিম। দলীয় ১৭০ রানে আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলে ডিকভেলার তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১০২ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন এ ড্যাশিং ওপেনার। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪০তম ফিফটি।