ভাগ্য খুলছে ২১ হাজার শিক্ষকের

অবশেষে ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের কপাল খুলতে যাচ্ছে। সারাদেশে নিবন্ধিত ৪৩১২টি ইবতেদায়ি মাদরাসাকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ২১ হাজার শিক্ষককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটে এ সংক্রান্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ থেকে জানা গেছে।

ইবেতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক নেতারা জানান, ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা বেতন পেতেন। এ বছর এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কপাল খোলে। তাদের বেতন বেড়ে ১ হাজার টাকা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় তা বাড়িয়ে ১৫০০ হাজার টাকা করা হয়। এরপর তৃতীয় দফায় সহকারি শিক্ষকদের (মৌলভী) সম্মানী ২ হাজার ৩০০ আর প্রধান শিক্ষকদের ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়।

এরপরেই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে যায়। স্কুলের মতো মাদরাসাও জাতীয়করণের জন্য তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, নতুন ৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদরাসা এবং উচ্চ স্তরের কলেজ-মাদরাসা এমপিওভুক্তির বিষয়টি অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলোর সঙ্গে ৪৩১২টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার সার-সংক্ষেপও অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের ৫ জন করে মোট ২১ হাজার ৫৬০ শিক্ষকের কপাল খুলে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবন্ধিত ইবতেদায়ি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তি করা হবে।

সূত্র বলছে, এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষকরা মাসিক জাতীয় স্কেলের বিভিন্ন গ্রেডে বেতন পাবেন। সে অনুযায়ী মাদরাসার প্রধানরা ১১ কোডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন। এ ছাড়া ১৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা এবং ২৫০০ টাকা বৈশাখী ও ৬ হাজার ২৫০ টাকা উৎসব ভাতা পাবেন। আর মৌলভীরা পাবেন ১৬ কোডে ৯ হাজার ৩০০ টাকা করে। এ ছাড়া মাসে বেতনের সঙ্গে ১৫০০ হাজার টাকা করে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা এবং ১৮৬০ টাকা করে বৈশাখী ও ৪ হাজার ৬৫০ টাকা উৎসব ভাতা পাবেন।