ভারতীয় পণ্যে কোণঠাসা দেশি ব্যবসায়ীরা

ভারতীয় শাড়িতে বাজার সয়লাব হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ কম দেশি বেনারসির। এতে বেশিরভাগ সময় লোকসানের মুখে পড়ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারপরও ঈদের মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে নিতে সারাদিন শাড়ি বুনছেন কারিগররা।

ঢাকার মিরপুরের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বেনারসি পল্লী ঈশ্বরদী। বর্তমানে ফতেমোহাম্মদপুরে বেনারসি পল্লীতে চালু আছে ৯টি কারখানা। এসব কারখানার কয়েকশ শ্রমিক এখন ঈদের জন্য তৈরি করছেন বুটি জামে বাহার, বেলবুটি, সাটান, নকশি, ফুলকলিসহ বিভিন্ন প্রকারের শাড়ি।

এদিকে গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বেনারসি কাতানের দখলে থাকা বাজারে টিকতে পারছে না বলছেন টাঙ্গাইলের কারিগররা। সেই সাথে ভারতীয় শাড়ির দাম কম হওয়ায় এ শাড়ির দিকে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এমনকি সুতা আমদানির ক্ষেত্রেও কোন সহযোগিতা পায়না বলে অভিযোগ তাদের। তবে এ শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা আছে বলে জানিয়েছে তাঁত বোর্ড।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার জামদানি পাড়ায় চলছে ঈদের কাজ। তবে লোকসান থেকে বাঁচতে বাজারে ভারতীয় শাড়ি প্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য আধুনিকায়ন ও প্রশিক্ষণও জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।