ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ‘গো ব্যাক মোদি’

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ‘গো ব্যাক মোদি’ হ্যাশট্যাগ ব্যাপক শেয়ার হচ্ছে টুইটারে। ভারতজুড়ে টুইটার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে ‘গো ব্যাক মোদি’ হ্যাশট্যাগ। যেখানে ভারতীয় সাধারণ জনগণ মোদি সরকারের ব্যাপক অনিয়মের কথা তুলে ধরছেন।

টুইটার ব্যবহারকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির সঙ্গে তার সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র শেয়ার করে বলছেন, যারা এখনও মনে করেন মোদি ভারতে শান্তি আনবে,তাদের জন্য একরাশ করুণা। বিশেষত পাক-ভারত চলমান উত্তেজনার সময়ে নির্বাচনী কাজে বেশি সময় দেওয়ায় সমালোচিত হন মোদি।

ভিনা দে নামের এ টুইটার ব্যবহারকারী একঠি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে নরেদ্র মোদি একজন সেনা ও কৃষকের কাপড় দিয়ে তার তার দলীয় পতাকা সেলাই করছেন।

কার্টুনটির ক্যাপশনে ভিনা দে লেখেন, নরেন্দ্র মোদি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। যিনি সেনাবাহিনী ও কৃষকদের শেষ করে দিচ্ছেন।

তামিলনাড়ু ইয়ূথ কংগ্রেসের টুইটে লেখা হয়েছে, আমার দুর্ভাগ্য যে, বিজেপি সরকার তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে। সাধারণ জনগণ ও বিশ্ববাসীর জন্যও এটি ভয়ের কথা।

প্রভা নামের অন্য একজন লিখেছেন, গতকাল মোদি বলেছেন যে, আমার বিশ্বাস তামিলনাড়ুতে বিজেপি সবচেয়ে বেশি সফল হবে। অথচ তামিলনাড়ু থেকেই ‘গো ব্যাক মোদি’ আওয়াজ উঠেছে।

কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা শুরু হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের মুখপাত্র রন্দীপ সিং সুরুজওয়ালা বলেছেন, সেনারা সীমান্তে কষ্ট করছে, আর প্রধানমন্ত্রী আছেন তার ভোট নিয়ে। দেশের সব মানুষও মুখিয়ে আছে সেনাবাহিনীর দিকে, অথচ এ পরিস্থিতিতেও দলীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার সময়ে একটি বেসরকারি চ্যানেলের উদ্যোগে বাঘ নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্রের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন মোদি। নৈনিতাল নামক জায়গার জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে সেদিন দুপুরে শুটিং শুরু হয়েছিল।

বিকালে পুলওয়ামায় বিস্ফোরণের খবর আসার পরও শুটিং বন্ধ করেননি মোদি। সন্ধ্যা পর্যন্ত শুটিং শেষ করে চায়ের আড্ডায় খোশগল্পে মেতে ওঠেন তিনি।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা তখন বলেছিলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল তাৎক্ষণিক শুটিং বন্ধ করে মন্ত্রিসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করা। তা না করে তিনি শুটিংয়ে মগ্ন ছিলেন। এরপর চায়ের আড্ডায় মেতেছেন।

কংগ্রেস মুখপাত্র বলেছেন, যেখানে সিআরপিএফের ৪০ বাঘ নিহত হয়ে গেল, আর প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত হয়ে আছেন বনের বাঘ নিয়ে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের হাতে ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান গ্রেফতার হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লিখেছিলেন, অভিনন্দনকে ফেরত দাও, মোদিকে নিয়ে যাও।