ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আপিল বিভাগের অন্য চার বিচারপতিও রয়েছেন।

বেঞ্চের অপর বিচারকরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

সূত্র জানায়, সকাল ১০টা পর্যন্ত আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলবে। এর পর নিয়মানুযায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্য বিচারক ও আইনজীবীরা মতবিনিময় করবেন।

এরপর দুপুর সোয়া ২টায় সব বিচারপতিকে নিয়ে বৈঠক করবেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা।

এর আগে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অসুস্থতার কারণে ১ মাসের ছুটির বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞাকে। সোমবার রাতেই রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় তাকে প্রধান বিচারপতি কার্যভার পালনের দায়িত্বের প্রজ্ঞাপন জারি করে।

২৭ আগস্ট থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি ছিল। আজ থেকে নিয়মিত আদালত বসছে।

এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশ সফরে ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২৪ আগস্ট ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বাতিল ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বিচারপতির সব অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ১ আগস্ট প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

এর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় ১০ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন- মামলার ফ্যাক্ট অব ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা প্রধান বিচারপতি তার রায়ে বলেছেন।

এ ছাড়া রায়ে জাতীয় সংসদ সম্পর্কে কটূক্তির পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয়নি- এমন বক্তব্যকে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে অস্বীকার করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।