ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের যা বললো বিএনপি

ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে ব্রিফিং করেছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। বুধবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে ব্রিফ করেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

বিএনপির এই ব্রিফিংয়ে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান, আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ডস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএসএআইডির প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতির কথা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। আসাদু্জাজামান রিপন ব্রিফিংয়ে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

ব্রিফিংয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে রুমিন ফারহানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো অত জানি না, আমি রুমেও ছিলাম না বেশিরভাগ সময়, সিনিয়ররা ছিল।’

তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়পরর্বতী বিষয় নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়। বিএনপি নেতারা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তাদের এ মামলার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। এছাড়াও দেশের বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও এই ব্রিফিংয়ে বলা হয়।

বিএনপির দাবি, দলটির চেয়ারপারসন যে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে রয়েছেন তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব রয়েছে। মামলার ফাইলিং প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন নেতারা।

বিএনপির অভিযোগ, বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা দেয়া হচ্ছে। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কখনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। এই প্রেক্ষাপটে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে সরকার।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল হলেও সরকার গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, মাদক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে।