ভাষা আন্দোলনের প্রথম হরতাল

১৯৪৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাংলা ভাষার আন্দোলন ইতিহাসে একটি মাইলফলক। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পরে—মাত্র চার মাসের ব্যবধানে এই দিনে ঢাকায় ভাষা আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম কর্মবিরতি বা হরতাল আহ্বান করা হয়। হরতালটি সফলতাও লাভ করে। সেই সময়ের বিভিন্ন সংবাদপত্র ঘেঁটে তার সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ মেলালে তখনকার এক চমৎকার ছবি ফুটে ওঠে।

১৯৪৭-এর আগস্ট মাসে পাকিস্তান সৃষ্টির পর নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাকে পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা, শিক্ষার মাধ্যম, দাপ্তরিক ও আদালতের ভাষা ঘোষণার দাবিটি বিবৃতি, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ ইত্যাদির মধ্যে সীমিত ছিল। ডিসেম্বর মাস থেকে সরকারের উচ্চতর প্রশাসন ও পুরান ঢাকার কিছু অভিজাত পরিবার, যারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করেও এ দেশের ভাষা রপ্ত করতে পারেনি বা উর্দু ভাষায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত, তারা উদুর্কে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে। এই কর্মকাণ্ডে স্বভাবতই ঢাকা শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঢাকাসহ সারা দেশে এ ধরনের উর্দু সমর্থকের সংখ্যা ছিল খুব কমই। তা সত্ত্বেও এই স্বল্পসংখ্যক উর্দু সমর্থক বাংলার সপক্ষে আন্দোলনরত ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের ওপর বল প্রয়োগের মহড়া দিতে থাকে। উর্দু সমর্থকদের এই কার্যক্রমের কারণে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দেয় ঢাকায়। এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে ৯ ডিসেম্বরে পাঠানো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায় কলকাতার দৈনিক আজাদ পত্রিকায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল:

‘বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়াছে যে কতিপয় অবাঙ্গালী উচ্চ-পদস্থ সরকারী কর্মচারী স্থানীয় প্রভাবশালী কোনও এক পরিবারের জনৈক খ্যাতনামা ব্যবসায়ী ও সংবাদপত্রের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগে ঢাকা শহরের এক শ্রেণীর লোকের মধ্যে মফস্বলবাসী অর্থাৎ ঢাকা শহরের স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া পূর্ব্ব বাংলার অন্যান্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে দুষ্ট প্রচারণা চালাইতেছে। উর্দ্দু-বাংলা প্রশ্ন লইয়াই নাকি এই প্রচারণা চলিতেছে।

ইতি মধ্যেই অবস্থা এরূপ দাঁড়াইয়াছে যে, যদি অনতিবিলম্বে সরকার তরফ হইতে উপরোক্ত সরকারী কর্মচারী ও কাগজের মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন না করেন, তাহা হইলে মুছলমানে-মুছলমানে দাঙ্গা বাধিয়া যাইতে পারে এবং গুরুতর শান্তিভঙ্গের কারণ ঘটিতে পারে।’

আজাদ পত্রিকার আশঙ্কা সত্য হয়ে দেখা দেয় ১২ ডিসেম্বর। ১৩ ডিসেম্বরে কলকাতা থেকে প্রকাশিত যুগান্তর-এ লেখা হয়:

‘বাংলা-উর্দ্দু বিতর্ক সম্পর্কে আজ [১২ ডিসেম্বর] কয়েক দল মুসলমানের মধ্যে হাঙ্গামা বাধিয়া যায়। ফলে আনুমানিক বিশজন আহত হয়। হাঙ্গামার পরে বাঙ্গালী মুসলমানদের বিরাট এক জনতা সরকারী দপ্তরখানা ও রমনা এলাকা পরিভ্রমণ করিয়া ও বিভিন্ন ধ্বনি সহকারে অবিলম্বে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা বলিয়া গ্রহণ করিবার দাবী জানায়।’

হরতালের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বেশ স্পষ্ট ধারণাই পাওয়া যায় সংবাদপত্রের পাতাতেই: ১২ ডিসেম্বর সকাল থেকে উর্দু সমর্থকেরা বাসে চেপে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় উর্দুর সপক্ষে প্রচারাভিযান শুরু করে। দুপুরে তারা পলাশী ব্যারাকের সামনে প্রচার চালানোর সময় সেখানে অবস্থানরত সরকারি কর্মচারী ও ছাত্ররা তাদের প্রচারাভিযানের বিরোধিতা করে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উর্দু সমর্থকেরা ব্যারাকবাসীদের ওপর চড়াও হয়, কয়েকজনকে আহত করে। পরবর্তী সময়ে ব্যারাকবাসী এক হয়ে প্রতিহত করে আক্রমণকারীদের।

এতে আক্রমণকারীরা সাময়িকভাবে স্থান ত্যাগ করলেও কিছু সময় পর আরও লোকজনসহ ফিরে আসে পলাশী ব্যারাকে। আক্রমণ চালায় ব্যারাক এবং এর আশপাশের এলাকায়। এ ঘটনায় পলাশী ব্যারাক ও পার্শ্ববর্তী আহ্সানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হোস্টেলের ২২ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়।

উর্দু সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদ জানাতে ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারী ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে যান সচিবালয় এলাকায়। এদিন বিকেলে সচিবালয় প্রাঙ্গণে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য আবদুল জব্বার খানের সভাপতিত্বে সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সভা করেন। ১৪ ডিসেম্বরের অমৃতবাজার পত্রিকা থেকে জানা যায় ওই সভার সিদ্ধান্ত:

‘পূর্ব পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই সভা কিছু ছাত্র ও কর্মচারী এবং একজন মহিলার উপর কিছু গুণ্ডার হামলাকে ধিক্কার জানাচ্ছে। ঘটনার একটি উন্মুক্ত তদন্ত দাবী করছে। এ ছাড়া এই সভা সর্ব্বসম্মতভাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সমর্থন জানাচ্ছে।’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় সভায় সরকারের সমালোচনা করা হয় বলে জানা যায়। আরও জানা যায় একটি সিদ্ধান্ত: ১৩ ডিসেম্বর ১৯৪৭, সচিবালয় ও অন্যান্য সরকারি অফিস-আদালতে কর্মবিরতি বা হরতাল পালন করা হবে।

১৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও সরকারি কর্মচারীদের ডাকা হরতালের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। শুধু তা-ই নয়, হরতাল ও বিক্ষোভের সমর্থনে সকাল থেকে হাইকোর্টসহ সব সরকারি কার্যালয়ের সামনে তাঁরা শুরু করেন পিকেটিং। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেয় ঢাকার বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররাও। ঢাকা শহরে সরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ থাকে এদিন।

১৩ ডিসেম্বরের হরতাল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সরকারি ইশতেহার:

‘পূর্ববঙ্গ সরকার কতৃর্ক প্রকাশিত এক ইস্তাহারে বলা হইয়াছে গতকল্যকার [১২ ডিসেম্বরের] ঘটনাকে অবলম্বন করিয়া স্বার্থসংশ্লিষ্ট দলসমূহের নতুন হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা সত্ত্বেও অদ্য ঢাকার অবস্থা সম্পূর্ণ শান্তই আছে। তবে গতকল্য পুলিশ হাঙ্গামাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বনে নাকি বিলম্ব করিয়াছে, এই অভিযোগে উহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জ্ঞাপনার্থ অদ্য সরকারী কর্মচারীরা একদিনের জন্য ধর্মঘট করে। এক সম্প্রদায়ের ছাত্রদের ছোট ছোট দল গর্ভণমেন্ট অফিসমূহের প্রবেশমুখে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করিয়া সরকারী কর্মচারীদিগকে অফিসে যাওয়া হইতে প্রতিনিবৃত্ত করে। তবে চিফ সেক্রেটারী ও অন্যান্য উর্দ্ধতন সরকারী কর্মচারীরা অন্যান্য দিনের মত অদ্যও অফিসে আসেন।

সহরের কোন কোন অঞ্চলে উত্তেজনার ভাব থাকায় এবং কতক লোক গতকাল্যকার হাঙ্গামার পুনরাবৃত্তি হইতে পারে বলিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পূর্ববঙ্গ বিশেষ ক্ষমতা অর্ডিন্যান্স অনুসারে ১৫ দিনের জন্য সহরে সভা, শোভাযাত্রা, পাঁচ বা ততোধিক লোকের একত্র সমাবেশ এবং কোনপ্রকার অস্ত্রশস্ত্র লইয়া চলাফেরা করা অথবা সরকারী অপিসসমূহের সম্মুখে পিকেটিং করা নিষিদ্ধ করিয়া এক আদেশ জারী করিয়াছেন। এই আদেশ ঘোষণার পরই পিকেটাররা চলিয়া যায়। যথোপযুক্ত পুলিশের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বিত হইয়াছে। পূর্ব পাকিস্তানের সরকারী ভাষা হিসাবে বাঙ্গলা ও উর্দুর মধ্যে কোনটা উপযুক্ত তৎসম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনার জন্য অদ্য অপরাহ্নে যে সভা আহ্বান করা হইয়াছিল তাহা উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক স্বেচ্ছায় পরিত্যাক্ত হইয়াছে এবং সহরের সর্বত্র শান্তি বিরাজ করিতেছে।’

এই সরকারি ভাষ্যর পাশাপাশি এখন দেখা যাক ওই সময়ের আনন্দবাজার পত্রিকা হরতাল প্রসঙ্গে কী লেখেছিল:

‘ছাত্র ও সরকারী কর্মচারীদের উপর গুণ্ডাদলের আক্রমণ ও গুণ্ডামি দমনে পুলিশের উদাসীন্যের প্রতিবাদে অদ্য [১৩ ডিসেম্বর] সরকারী কর্মচারীরা কর্মে যোগদান করে নাই। হাইকোর্ট, সেক্রেটারিয়েট, কমিশনারের অফিস ও রমনা অঞ্চলের অন্যান্য সরকারী অফিসে অদ্য পিকেটিং চলিয়াছিল। কর্মচারীদের অনুপস্থিতির দরুণ সেক্রেটারিয়েট ও অন্য সকল গবর্ণমেন্ট অপিস বন্ধ ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাও আজ ক্লাসে যোগ দেয় নাই।

মেডিকেল ছাত্রদের একটি শোভাযাত্রা বাঙ্গলাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণ করা ও অন্যান্য ধ্বনি করিয়া রায় সাহেবের বাজারের পার্শ্ব দিয়া যাইবার কালে গুণ্ডারা লোহার ডান্ডা ও লাঠি লইয়া তাহাদের উপর আক্রমণ চালায়। ফলে ৭ জন ছাত্র আহত হইয়াছে। একজন ছাত্র নিখোঁজ হইয়াছে বলিয়াও শোনা যাইতেছে।’

করাচি থেকে প্রকাশিত ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭-এর দৈনিক ডন সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকার জেলা ম্যাজেস্ট্রেট [১৩ ডিসেম্বর] দুপুরের দিকে ঢাকা শহরে ১৫ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। নিষিদ্ধ হয় সব ধরনের সভা, মিছিল ও অস্ত্র বহন। সরকারি প্রচার গাড়ির মাধ্যমে শহরময় ঘোষণা করা হয় এই নিষেধাজ্ঞা। সারা শহরে টহল দিতে থাকে পুলিশ। এ ছাড়া জনসাধারণকে জানানো হয়, পুলিশ গত দিনের সংঘর্ষের উসকানিদাতাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এই প্রচারকাজের সময় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বাণী এবং উপদেশ বাজিয়েও শোনানো হয়। বাংলা ও উর্দু—দুই ভাষাতেই প্রচার করা হয় ঘোষণাগুলো। এদিন উর্দুর পক্ষে একটি জনসভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হতে পারেনি। ডন-এ প্রকাশিত সংবাদে সভাটিকে উর্দুর সপক্ষে বলা হলেও ১৫ ডিসেম্বরের অমৃতবাজার ও আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সভাটি সরকারি বা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ও উর্দু উভয় ভাষারই সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। আরও জানা যায়, সভাটি আহ্বান করেছিলেন ঢাকার নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ।

১৭ ডিসেম্বরের আজাদ থেকে জানা যায় আরও তথ্য: ছাত্র ও সরকারি কর্মচারীদের ওপর উর্দু সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদে হরতালের দিন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে এক ছাত্র সভার আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক নুরুল হকের সভাপতিত্বে এ সভায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ সম্পর্কে আজাদ-এ উল্লেখ ছিল:

‘সভায় বাংলা সমর্থন করিয়া মোসারেফ আলী, নির্ম্মল গুহ, ছানাউল্লাহ, স্বাধীন গুহ, কবির আহম্মদ, সুবোধ দাশ, বদরুদ্দিন আহমদ, আবদুল হাকিজ ভূঁইয়া ও আসাদুজ্জামান বক্তৃতা করেন। শীঘ্রই এক দল প্রতিনিধি প্রধান মন্ত্রীর সংগে দেখা করিবেন।’

একই দিন সন্ধ্যায় পূর্ব বাংলার মুখ্য সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা গত দিনের আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। চিকিৎসকরা জানান, আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল মোট ২২ জনকে, যাদের মধ্যে ১৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয় আর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিনজনকে। চিকিৎসকেরা এ সময় আরও বলেন, দু-তিন দিনের মধ্যে ভর্তি আহতদের মধ্যে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং বাকি একজনের চিকিৎসা চলবে আরও কিছুদিন।

১৮ ডিসেম্বরের অমৃতবাজার জানায় একটি খবর: হরতালের দিন মধ্যরাতে সাঈদ আহমেদ, আবদুল হামিদ, ইউসুফ হোসেন চৌধুরী, মফিজ উদ্দিন আহমেদসহ পূর্ব বাংলার মন্ত্রিপরিষদ ও আইনসভার কয়েকজন সদস্যও সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে দেখতে যান।

এভাবেই শেষ হয় বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রথম হরতাল। এটি স্বাধীনতা-উত্তর পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সফল হরতালও বটে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই হরতালের মধ্য দিয়েই নতুনভাবে মোড় নেয় ভাষাসংগ্রাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমিত থাকা ভাষা আন্দোলন এই হরতালের মধ্য দিয়ে ছড়াতে শুরু করে শহরে। ফলে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ও জনগণের সহানুভূতি—দুই-ই বাড়তে থাকে।