ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সচিবালয়ের এক নম্বর ভবন

চিবালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা না থাকলেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনটি (মন্ত্রিপরিষদ ভবন) ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনটি ৬৭ বছরের পুরনো, যা এরইমধ্যে ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছে।’

সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

শফিউল আলম বলেন, ‘সচিবালয়ের ভবনগুলোতে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নি দুর্ঘটনার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রত্যেকটি ভবনে আলাদা করে সার্কিট ব্রেকার বসানো হয়েছে। এ কারণে সচিবালয়ের ভবনগুলো অগ্নি ঝুঁকিমুক্ত। তারপরেও পিডব্লিউডি প্রত্যোকটি ভবনে আগুন নিরোধক এক্সটিংগুইশারগুলো চেক করছে। মেয়াদোত্তীর্ণ এক্সটিংগুইশার পরিবর্তন করা হচ্ছে। এছাড়াও অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অন্যান্য যাবতীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত সব মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরও কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খুঁজে বের করতে বৈঠক করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘সচিবালয়ের একনম্বর ভবনটি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকায় ওই ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের সভাস্থল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ছয় নম্বর ভবনে (২০ তলা ভবনের ১৩ তলায়) বৈঠকের সভাস্থল স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একনম্বর ভবনে অবস্থিত সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তাদের দফতর স্থানান্তরে সচিবালয়ের মসজিদের সামনে বিদ্যমান টিনশেড ভেঙে ফেলে ভূমিকম্প এবং অগ্নিপ্রতিরোধ সম্পন্ন আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রকল্প একেনেকে অনুমোদিত হয়েছে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি শফিউল আলম বলেন, ‘সিলেটের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চল থেকে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাওয়া যায়। অন্তত দুই মিনিট আগে যদি ভূমিকম্পের সিগন্যাল পাওয়া যায়, তাহলে এই ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব।’