ভূমিকম্পে জেগে উঠল অ্যাজটেক মন্দির

মেক্সিকোয় অ্যাজটেক সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়েছে অনেক দিন হল। আবিষ্কৃত হয়েছে বিশাল এলাকাজুড়ে এ সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে বিস্তৃত রাজপথ, অজস্র ম্যুরাল আর দালানকোঠা।

রয়েছে বড় বড় পিরামিড। ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে এরই একটি পিরামিডের মধ্যে জেগে উঠেছে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। অ্যাজটেকদের বৃষ্টির দেবতার মন্দির। সম্প্রতি মেক্সিকোর জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যান্থোপলোজি অ্যান্ড হিস্টরি মন্দিরটি আবিষ্কার করে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে। ভূমিকম্পের কারণে মন্দিরের মূল কাঠামো অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে এএফপি।

মন্দিরটির বয়স প্রায় এক হাজার ১৫০ বছর। এটি বৃষ্টির দেবতা তিয়ালকের সম্মানে নির্মাণ করা হয়। এটা মেক্সিকোর মোরেলোস রাজ্যের কুয়েরনাভাকা এলাকার তিওপানজলকো পিরামিডের ভেতরে অবস্থিত। এটা এ অঞ্চলে অ্যাজটেকদের তিয়াহুইকান সংস্কৃতির অংশ। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যান্থোপলোজি অ্যান্ড হিস্টরির প্রত্নতত্ত্ববিদ বারবারা কনিয়েকজা বলেন, ভূমিকম্পের কারণে মন্দিরটির মূল কাঠামো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এটার শীর্ষাংশে।

মোরেলোস রাজ্যের কুয়েরনাভাকা এলাকায় এর আগে আরও দুটো মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে। এর একটি অ্যাজটেকদের সূর্য ও যুদ্ধের দেবতা হুইটজিলোপকটলির নামে। আরেকটি বৃষ্টির দেবতা তিয়ালকের নামে। প্রত্নতত্ত্ববিদ বারবারা কনিয়েকজা বলেন, উভয় মন্দিরের মেঝেই পানিতে ডুবে আছে এবং বাঁকা হয়ে গেছে। এতে মন্দির দুটোর স্থায়িত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। নতুন আবিষ্কৃত মন্দিরটি লম্বায় ছয় মিটার ও প্রস্থে মাত্র চার মিটার। মন্দিরের ভেতরে অ্যাজটেকদের ব্যবহৃত কিছু সিরামিকের তৈজস ও প্রদীপ পাওয়া গেছে। ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ৭.১ মাত্রায় মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে এযাবতকালের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প। এতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে নিহত হয় দেশটির ২৬৯ জন মানুষ।