ভেতরে সংলাপ, বাইরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভন গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের সংলাপ শুরু হয়েছে। এ সংলাপ শুরু হওয়ার পর পরই গণভবনের সামনের আইল্যান্ডে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় যুব ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাকর্মীরা। মোমবাতি হাতে গলায় ব্যানার ঝুলিয়ে তারা এ অবস্থান নেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, মোহাম্মদ হানিফ নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। হানিফ বলেন, আজকের সংলাপের সাফল্য কামনা করে আমরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছি। তিনি বলেন, সংলাপ যদি সফল না হয়, তাহলে দেশ সংঘাতের পথে যাবে।

হানিফ বলেন, শান্তির পথে দেশ যেন থাকে এ প্রত্যাশা নিয়ে আমরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছি।

এ কর্মসূচি সম্পর্কে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার হাই কমান্ড অবগত কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, হাই কমান্ডের কেউ এ কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত নয়। যুব ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচিতে সব মিলিয়ে ১৫-২০ জন অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দল এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

রাজনীতির চলমান সঙ্কট উত্তরণে অনেকেই এ সংলাপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মনে করছেন। তবে সংলাপের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে কেউ কেউ ‘ব্যর্থ’ আলোচনারও পূর্বাভাস দিচ্ছেন।

এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসা থেকে রওনা হয়ে ৬টা ৪০ মিনিটে গণভবনে পৌঁছান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ঘোষিত ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি অন্যতম এজেন্ডা বলে মনে করা হচ্ছে।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে সক্রিয় জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক দুই সংসদ সদস্য এসএম আকরাম ও সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক এবং শফিক উল্লাহ।

অন্যদিকে সংলাপে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন- ২৩ জন প্রতিনিধি, এর মধ্যে আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলগুলোর নেতারাও আছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।