ভোটে আসতে জোর করতে পারি না : নির্বাচন কমিশনার

সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন জানিয়ে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার। আর সেই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের প্রত্যাশা থাকলেও কেউ না এলে তাকে জোর করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতি সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা ও বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা হল রুমে এক মতবিনিময়ে অংশ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন এই নির্বাচন কমিশনার। পরে সাংবাদিকরা তার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আগের আমলে উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দেয়ার পর সংশোধন করে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের বিধান করা হয়।

কিন্তু সেই সংশোধনী না মেনে তত্ত্বাবধয়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে যায় বিএনপি-জামায়াত জোট। তার দাবি পূরণ না হওয়ায় ভোট বর্জন করে তারা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও নির্দলীয় সরকারের অধীনে করার দাবিতে আন্দোলনে আছে বিএনপি। তবে সরকার সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করতে রাজি নয়।

সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার আইনি কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল বলেন, ‘সংবিধানকে সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। সংবিধানে যে ধরনের ব্যবস্থা থাকবে নির্বাচন কমিশন সেভাবেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করবে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বিএনপি-জামায়াত জোটকে ভোটে নিয়ে আসা। তবে এক প্রশ্নে রফিকুল জানান, তারা চান সব দলের অংশগ্রহণ থাকুক ভোটে। তবে নির্বাচন কমিশনার কাউকে বাধ্য করতে পারে না।

‘বাংলাদেশে ৪০টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। আমরা চাই সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি কোন দল অংশগ্রহণ না করে তাহলেও যথা সময়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জোর করে আমরা কোন দলকে অংশগ্রহণ করাতে পারি না।’

একাধিক দিনে ভোট নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যতদিন এই সংবিধান এবং এই আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আিইন) বহাল থাকবে ততো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক দিনেই অনুষ্ঠিত হবে।’

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ নুরুল আমিন,পুলিশ সুপার সনজিৎ কুমার রায়, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধিরা এই মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত ছিলেন।