ভোট জালিয়াতির প্রমাণসহ স্মারকলিপি দিল ঐক্যফ্রন্ট

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা একযোগে স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপির সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম, কারচুপি, মামলা, গ্রেপ্তার, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, প্রার্থীদের আটক ও প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত জমা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

আর ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, কার্যকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত রায় চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা তথ্য-উপাত্তসহ স্মারকলিপি জমা দিয়ে বেরিয়ে যান। ইসির সঙ্গে কোনো বৈঠক করেনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা বৈঠক করেন।

বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের নবনির্বাচিতরা শপথ না নিয়ে সিইসিকে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এ ছাড়া নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে নিজ নিজ আসনের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের শরিক সকল দলের একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনে যান।

ওই বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্মারকলিপি দিতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর প্রতারণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের প্রার্থীদের এই প্রতিবাদ এবং নির্বাচন প্রত্যাখানের চিঠি সংবলিত স্মারকলিপি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল আবারও প্রত্যাখ্যান করছি এবং তা বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। প্রত্যেক প্রার্থী ট্রাব্যুনালে তাদের অভিযোগ এবং নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি জানিয়ে মামলা করবেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছি, শপথ নেয়ার প্রশ্নই উঠে না। আমরা পরিষ্কার বলছি, আমরা শপথ নিচ্ছি না।’