ভয়ঙ্কর যুদ্ধের মুখে পাক-ভারত, ঘটক হতে চায় রাশিয়া

কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে রাশিয়া।

বৃহস্পতিবার তাস’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ এ কথা জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেন, ‘যদি তারা (পাকিস্তান-ভারত) চায়, অবশ্যই আমরা ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।’

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকরভও একই কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় মস্কো যে কোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

মারিয়া জাকরভ আরও বলেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। দেশ দুটি ভয়ঙ্কর যুদ্ধের মুখোমুখি অবস্থান করছে। তারা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় সামরিক বাহিনী জড়ো করেছে। এতে সৈন্যবাহিনীর মধ্যে যে কোনো সময় সরাসরি সংঘাতের ঝুঁকি রয়েছে।’

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পুলিশ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় ৪২ জওয়ান নিহত হন। পরে জইশ-এ মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে।

হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে আসছে।

এরই মধ্যে পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা চালায় ভারতের বিমানবাহিনী। পরে ভারত দাবি করে, ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ১ হাজার কেজি বোমা ফেললে কমপক্ষে ৩০০ সন্ত্রাসী নিহত ও তাদের ঘাঁটি গুড়িয়ে গেছে।

ভারতীয় যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে ভূখণ্ডে প্রবেশের কথা জানালেও পাকিস্তান হতাহতের কথা অস্বীকার করে। এরপর গতকাল বুধবার নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাকিস্তান ভূখণ্ডে যাওয়ায় ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাশাপাশি পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে আটক করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভূমিকায় দু’দেশের উত্তেজনায় বরফ গলতে থাকে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সংসদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে আগামীকাল শুক্রবার ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন।

এমন প্রেক্ষাপটে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়াও কাশ্মীর ইস্যুতে নিজেদের জড়ানোর ইচ্ছের কথা জানালো।