ভয় ও সংকীর্ণতা ভেঙে সত্যটা প্রকাশ কর : নুরকে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি

ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের সাবেক সভাপতি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মাকসুদ রানা মিঠু বলেছেন, নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নুরকে যারা ব্যবহার করেছে তারাই হলো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিবির।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন নুরুল হক নুরের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন বৈঠকে কী কী কথা হয়েছিল জাতিকে তা জানাতে নুরকে অনুরোধ করেন এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

২০১৮ সালের ৭ এপ্রিলের কোনো একটি ঘটনার কথা তিনি নুরকে প্রকাশ করতে বলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি নবর্নিবাচিত ভিপি নুরুল হক নুরের সামনে কয়েকটি প্রশ্ন রাখেন। নুরকে ভয় ও সংকীর্ণতা ভেঙে এসব প্রশ্নের জবাব জাতিকে জানাতে বলেন তিনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মাকসুদ রানা মিঠুর ফেসবুকে দেয়া সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো –

‘নুরুল হক নুরু। ছাত্রলীগের কর্মী থেকে তোমাকে যারা নিজ স্বার্থে ছাত্র অধিকার আন্দোলনের নেতা বানিয়ে পল্টি দিয়ে শিবির নেতা বানালো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর মত অবস্থান এবং সাহস তোমার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি।

ছাত্রলীগ তার যত কর্মীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শিবির বানিয়েছে আমি বিশ্বাস করি তুমি তাদেরই একজন। ছাত্রশিবির করার মত যোগ্য তোমাকে দেখে যেমন কখনও মনে হয়নি তেমনি ছাত্রশিবিরকে প্রেস রিলিজ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কারও জন্য ভোট চাওয়ার মত নির্বোধও মনে হয় না।

ভয় ও সংকীর্ণতা ভেঙে সত্যটা প্রকাশ কর ভাই। সারা দেশকে জানিয়ে দে তোকে কোটা আন্দোলনের নেতা কারা বানিয়েছিল।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোন দুই প্রভাবশালী নেতা তোকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। কোন নেতারা সেদিন সামনে ছাত্রলীগের সম্মেলন যাতে না হয় তার জন্য কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল।

নুরু তোকে আজ বলতে হবে ৭ এপ্রিল ২০১৮ কোন দুই বড় নেতা তোকে ১২ হাজার হাজার টাকা দিয়া আন্দোলনে খরচ করতে বলেছে।

আন্দোলনের নেতৃত্ব যাতে হাসান আল মামুন আর তোর হাতে থাকে কে বলেছে সেটা তুই লাইভে এসে বলবি। তোকে নিয়ে ছাত্রলীগের কোন নেতারা বিভিন্ন সময় বৈঠকে বসেছে সেটা সবাইকে জানিয়ে দে।

কোটা আন্দোলন নির্মূল করার জন্য ছাত্রলীগের যে বৈঠক হয় সেখানে শুধুমাত্র তৎকালীন ৩ জন নেতা কেন উপস্থিত ছিল সেটাও ছাত্র সমাজ জানতে চায়।

কোটা আন্দোলন, ছাত্রলীগের সম্মেলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের ৬০০ কোটি টাকার কাজ, এগুলোর সর্ম্পকটা কি এটাও সবাইকে জানতে হবে। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নুরুকে যারা ব্যবহার করেছে তারা হলো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিবির।’

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)