মদনে নার্সের বিরুদ্ধে নবজাতক শিশু হত্যার অভিযোগ

প্রতিনিধি মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদনে নার্সের বিরুদ্ধে নবজাতক শিশু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, শনিবার ভোরে সুমন মিয়ার গর্ভবতী স্ত্রী হুসনার প্রসব ব্যথা দেখা দিলে পার্শ্ববতী আটপাড়া উপজেলার তারাচা পুর গ্রাম থেকে তাকে দ্রæত মদন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স অসিমা রায় তাকে দেখে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যায় । রোগীর লোকজন কর্তব্যরত ডাক্তারের খোঁজ নিতে চাইলে নার্স তাদেরকে গর্ভবতী মহিলার অবস্থা ভাল সহজেই সন্তান ডেলিভারী করা সম্ভব ডাক্তারের প্রয়োজনেই নেই,আমিই ডেলিভারী করতে পারব এ কথা বলে আশ্বস্ত করেন । পরে তার সহযোগী ওয়ার্ড বয় গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নূর নাহারকে নিয়ে ডেলিভারি শুরু করে। নরমাল ডেলিভারী করার যোগ্য নয় এর পরেও এক ঘন্টার সময় নিয়ে গ্রাম্য ধাত্রীদের মত টেনে হিছরে লম্বা মাথার মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করান এবং টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। রোগীর লোকজন তিনশ টাকা দিলে উক্ত স্টাফ নার্স টাকা গুলো চুড়ে ফেলে দুই হাজার টাকা দেওয়ার জন্য গালিগালাজ করতে তাকে। তার দূব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে রোগীর লোকজন ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক এবং ওসি মদন থানার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃত শিশু সন্তান নিয়ে বাড়ী চলে যায়। এ দিকে সন্তানের মায়ের অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে মদন হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

মৃত নবজাতক শিশুর বাবা সুমন মিয়া জানান, শনিবার ভোরে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এলে অসিমা নার্স রোগীর অবস্থা ভাল বলে ডেলিভারীর কাজ শুরু করেন। এক ঘন্টা পর টেনে হিছরে মৃত অবস্থায় আমার ছেলে সন্তানকে প্রসব করে টাকার জন্য আমাদের চাপ সৃষ্টি করে। সে আমার সন্তানকে হত্যা করেছে,আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্টাফ নার্স অসিমা রায় অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,আমি স্বরযন্ত্রের স্বীকার। আমাকে অহেতুক ফাঁসানো হয়েছে।

ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুল গণি জানান,আমি নেত্রকোনায় মেটিংয়ে আছি,বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার ফজলে বারী ইভান জানান,এ ব্যাপারে শনিবার একটি অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।