মদ আর গাঁজা ভরা সিগারেটে বুঁদ সেই রাহাফ

রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন (১৮), আলোচিত সৌদি আরবের কিশোরী। নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন।

গত সপ্তাহে যে স্বাধীন জীবনের জন্য দেশ ছেড়েছেন, সেটি কেমন উপভোগ করছেন রাহাফ। তারই চিত্র তুলে ধরেছে ডেইলি মেইল।

কানাডায় রাহাফ তার স্বাধীন জীবন উদযাপন করেছেন। তিনি নতুন বাড়িতে এক সপ্তাহ বসবাসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এতে মদ (রেড ওয়াইন) ও জ্বলন্ত সিগারেট রয়েছে।

সম্প্রতি রাহাফ নাস্তার ছবি শেয়ার করেন। এতে তিনি জীবনে প্রথম কানাডিয়ান স্টাইলে বেকন (শূকরের হিমায়িত মাংস) চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন।

এই ছবির সঙ্গেই তিনি মদ এবং সিগারেটের টুকরার ছবি দিয়ে সেগুলো দারুণ উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন। কানাডায় সাধারণ এভাবে গাঁজা ভরে সিগারেট খাওয়া হয়। সম্প্রতি দেশটি গাঁজাকে বৈধতা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশের নিজস্ব রীতি মেনে ১৮/১৯ বছর বয়সী থেকে সবাই গাঁজা সেবন করতে পারেন।

সিগারেট খাওয়ার ছবিতে রাহাফ আরবিতে ক্যাপশন দিয়েছেন, যার বাংলা অর্থ, মাইনাস ৮ ডিগ্রিতে বসে ‘বাষ্প’ উড়াচ্ছি।

মদ পানের ছবিটি টরেন্টোগামী বিমানে বসে। এর আগে রাহাফ কুকুর নিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর ছবি দিয়ে তাতে ক্যাপশন দেন, স্বাধীনতা অনুভব করছি।

এরপর গত মঙ্গলবার বেকন ও ডিম দিয়ে নাস্তার ছবি দিয়ে রাহাফ ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘ওএমজি (ও মাই গড) বেকন’। এই ক্যাপশনের সঙ্গে তিনি কানাডার পতাকার সঙ্গে হৃদয় ইমোজি দিয়েছেন।

এ ছাড়া রাহাফ ভোরে স্টারবাকস কফি খাওয়ার ছবিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তাকে হাঁটু পর্যন্ত ধূসর উলের পোশাকে দেখা গেছে। পায়ের এর পরের অংশ আলগা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি পরিবারে সঙ্গে কুয়েত যাওয়ার পথে ব্যাংককে পালিয়ে আসেন সৌদি তরুণী রাহাফ। ব্যাংকক বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর তিনি দাবি করেন, তার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। কিন্তু, সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে এক সৌদি কূটনীতিক তার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছেন।

পরে থাই পুলিশ তাকে পরিবারের কাছে পাঠাতে চাইলেও বিষয়টি বুঝতে পেরে রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুননকে সেখানে থাকার অনুমতি দেয়। পরে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশ ওই তরুণীকে আশ্রয় দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। শেষ পর্যন্ত রাহাফ কানাডাকে বেছে নেন।