মন্ত্রিসভার সবাইকে কঠোর নজরদারিতে রাখব : প্রধানমন্ত্রী

নতুন মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সতর্ক থাকতে সাবধান করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি সবাইকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখবেন।

তিনি বলেন, ‘কে কী করছেন তা দেখার জন্য আমি আপনাদের সবাইকে কঠোর নজরদারিতে রাখব।’
মঙ্গলবার নবনিযুক্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সাবধান বাণী উচ্চারণ করেন। খবর: ইউএনবি

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে প্রথমে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য জানা ও বোঝার নির্দেশ দিয়ে বলেন, তারপর আপনারা দায়িত্ব কমিয়ে নিতে পারবেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারত তাহলে তারা গণহত্যা ঘটিয়ে দিত। তারা গণহত্যা শুরু করত, এটাই বাস্তবতা।

এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী দিনগুলোর ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তি যদি এবার কোনোভাবে ক্ষমতায় আসতে পারত তাহলে দেশে অসংখ্য লাশ পড়ত। পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালে যা করেছিল তারা তাই করত।

বিএনপি-জামায়াত জোট ব্যবসায়ীদের স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে দিত না এবং শত শত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা চাকরি হারাতেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচনে নিজ দলের জয়ের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিচক্ষণতার সাথে প্রার্থী নির্বাচন করার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়ার আগে তিনি বিভিন্ন জরিপ পরিচালনা করেন। এমনকি বিদেশি সংস্থাও জরিপ পরিচালনায় নিযুক্ত ছিল।

নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের হারের পেছনে মনোনয়ন বাণিজ্যই মূল কারণ এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অনিশ্চিত নেতৃত্বও আরেকটি কারণ ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে তারা যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। তারা মনোনয়ন নিলাম করেছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা এখন কূটনীতিকদের কাছে অভিযোগ করছে। নির্বাচনের দিন অনেক কূটনীতিক সিলেট ও ঢাকার অনেক কেন্দ্রে শারীরিকভাবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি তাদের বিস্মিত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ নির্বাচনের ফলাফল এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল প্রায় এক। কেননা ভোটাররা ব্যাপকভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।