মসজিদে বসে থাকার ফজিলত

দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ স্থান মসজিদ আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান বাজার। এ কারণে মানুষ যতক্ষণ মসজিদে অবস্থান করে অন্তত ততক্ষণ যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। আর যদি নামাজ ও জিকির-আজকারে নিয়োজিত থাকে তবে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক আরো বেশি জোরদার হয়। আর মসজিদে অবস্থানের এ ধারা অব্যাহত থাকলে মানুষের দ্বারা সমাজে সংঘটিত নানবিধ খারাপ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। আর তাতে শান্তির সমাজ সুপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে মসজিদে অবস্থান বা বসে থাকার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেছেন। ঘোষণা করেছেন অনেক ফজিলত-

>> হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত নামাজ আদায়রত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবে; যতক্ষণ পর্যন্ত নামাজ (নামাজের অপেক্ষায় মসজিদে) তাকে আটকে রাখবে। তাকে তো তার পরিবার পরিজনের কাছে ফিরে যেতে কেবল নামাজই বারণ করছে। (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়- যে ব্যক্তি মসজিদে নামাজের অপেক্ষায় থাকবে তাঁর অপেক্ষাকালীন মসজিদে বসে থাকাও নামাজ আদায়ের সাওয়াবে পরিণত হবে। অন্য হাদিসে মসজিদে বসে থাকার ফজিলত বর্ণনায় এসেছে-

>> হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাজ আদায়ের স্থান (জায়নামাজে) নামাজের অপেক্ষায় থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পুরো সময়ই নামাজে থাকে। (মসজিদে থেকে) তাঁর প্রত্যাবর্তন না করা অথবা ওজু ছুটে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য এই বলে দোয়া করতে থাকে-
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফির লাহু আল্লাহুম্মারহামহু। অর্থাৎ হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দিন; তার প্রতি রহম করুন।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

মসজিদে অবস্থান করা বা বসে থাকার ফলে একদিকে যেমন নামাজের সাওয়াব পাওয়া যায়; অন্য দিকে ফেরেশতারা তার প্রতি রহমত বর্ষণ ও ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে।

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে মসজিদে বসে থাকার বা নামাজের অপেক্ষায় থেকে তাঁর রহমত লাভ এবং ফেরেশতাদের মাগফেরাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।