মসজিদে হামলা নিয়ে টুইটারে মোদি কেন নীরব?

নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় সারা বিশ্ব সমবেদনা জানাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে নিন্দার ঝড়।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব দেশের নেতারা এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ন্যক্কারজনক এ সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও টুইট করে নিউজিল্যান্ডবাসীর প্রতি সমবেদনা জানান। যদিও তার শব্দচয়নে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে সক্রিয় বলে বেশ সুনাম রয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে নানা মন্তব্য থাকে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির এ নেতার এ টুইটে। বিশেষ করে বিশ্বের কোথাও কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হলে যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গেই তার নিন্দা জানিয়ে থাকেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের বাইরে কাবুল, কায়রো, নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস- এসব শহরে বিগত বছরগুলোতে যেসব সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে টুইটারে সরব ছিলেন সাড়ে ৪ কোটি ফলোয়ার থাকা মোদি।

অথচ, শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ জন মুসল্লি নিহত হলেও এ ঘটনা নিয়ে কোনো টুইট করেননি আগামী মাসে ভারতের জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাওয়া মোদি!

যদিও এই দিনটিতে অন্যান্য বেশ কয়েকটি ইস্যুতে টুইটারে পোস্ট করেছেন।

সামাজিক মাধ্যমে তার ভক্তদের সামনে নীরব থাকলেও হামলার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা এক চিঠিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মোদি। মুসলিমদের নিহতও হওয়ার ঘটনা শোক প্রকাশকে তার উগ্রবাদী দল ও ভক্তরা কীভাবে নেয় তা চিন্তা করে হয়তো তিনি এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় থাকছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।