মাগুরায় জমে উঠেছে কাত্যাতয়নী উৎসব : লাখো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত গোটা শহর

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যাতয়নী পূজা উৎসব। দেশ-বিদেশের লাখো দর্শনার্থীর পদচারণায় মাগুরা এথন মুখরিত। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মানুষের ঢল নামতে থাকে রাত যত গভীর হয় দর্শনার্থীর ভীড় আরো বেড়ে যায়। শুক্ররার সরকারি ছুটি থাকায় প্রচুর মানুষ আসে জেলার বাইরে থেকে। আজ শনিবার মহা অষ্টমী তিনদিন পর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এ উসব শেষ হবে। উৎসবকে গিরে রেখে গোটা মাগুরা শহর বণির্ল রঙ্গে সেজেছে। প্রতিমা, গেট, প্যান্ডেল, নয়নাভিরাম অলোকসজ্জা ও ডিসপ্লের আয়োজন করা হয়েছে।

এবার প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমা তৈরীতে পৌরণিক কাহিনী ও সমসাময়িক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। কোনো পুজা মন্ডপে বাহুবলী ট’ুর আদলে প্রতিমা আবার কোনোটিতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ, মা কাত্যায়নী ঐতিহ্যবাহী ঠেলাগাড়ীতে করে পুত্র-কন্যাদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যা দেশ-বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ বছর পৌর এলাকায় ১৫ টি সহ জেলায় মোট ৯১ টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তথ্যমতে,সারাবিশ্বে সনাতন ধর্মাল্বীদের কাছে দূর্গা পূজা সবচেয়ে বড় ধর্মী উৎসব হলেও শুধু মাগুরায় এর ব্যাতিক্রম। এ জেলায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে কাত্যায়নী পূজাই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। তবে এ পূজার মূল ধর্মীয় অনুষ্ঠানিকতায় হিন্দু ধর্মের মানুষেরা অংশ নিলেও উৎসবে যোগ দেন সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ। সারাদেশ এমনকি দক্ষিন এশিয়ার অনেক দেশ থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন মাগুরায় অনুষ্ঠিত কাত্যায়নী পূজা দেখতে। এটির সূচনা করেন শহরতলীর পারন্দুয়ালী এলাকার সতীশ মাঝি। সে সময় জেলেরা আশ্বিন মাসে মাছ ধরার মৌসুমে মাছ শিকারে নদীতে ব্যস্ত থাকার কারণে দূর্গা পূজা থেকে বঞ্চিত হতেন। যে কারণে দূর্গা পূজার ঠিক এক মাস পরে দূগার্র আদলে বহু প্রতিমা তৈরী করে তার বাড়িতে মহা ধুমধামে এ পূজার আয়োজন শুরু করেন। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে যা ব্যাপক বিস্তৃতি পায়।

পূজা উৎসবে দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ছাড়াও সাদা পোষাকের পুলিশ, আনসার, ভিডিপি এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করছে প্রশাসন।