মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

মুকসুদপুরের চকশিন নয়াকান্দী গ্রামে ৫ বিঘা পুকুরে কীটনাশক (গ্যাস ট্যাবলেট) প্রয়োগে বিভিন্ন জাতের মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতের কোন এ সময়ে দুষ্কৃতিকারীরা কীটনাশক প্রয়োগ করে এ ঘটনা ঘটায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাছ চাষী লক্ষ্যি কান্তি বাড়ৈ।

এ ঘটনায় পুকুর মালিক মেরী বৈড়াগী বাদি হয়ে, মনোতোষ ব্যানার্যী,সবুজ বালা,শুশিল বাড়ই,অমিও বিশ্বাস,মার্গারেট বিশ্বাস,রিগান বিশ্বাস,শাকরিয় বৈরাগী,ননী গোলদারকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে, পুকুরের মালিক লক্ষ্যি কান্তি বাড়ৈ জানান,গভীর রাতে আমি আমার পুকুর পাড়ে লাইটের আলো দেখতে পাই। আমি বাইরে আসতে আসতে সে চলে যায়,অন্ধকার থাকায় আমি তাকে চিনতে পারি নাই । আমি কিছু বুঝতে না পেরে ঘুমাতে যাই । সকালে ঘুম থেকে উঠে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেই এবং তাদের সহযোগিতা নিয়ে মরা মাছ গুলো পুকুর থেকে তুলি।

ক্ষতিগ্রস্থ পুকুর মালিক মাছ চাষী লক্ষ্যি কান্তি বাড়ৈ ও মেরী বৈরাগী জানান, আমার পুকুরটিতে পোবা, টেংরা, রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৯ প্রকারের মাছ চাষ শুর করেছিলাম। কেউ প্রতিহিংসাবশত আমার ক্ষতিসাধনের জন্য আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে উক্ত মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুকসুদপুর থানার এসআই লাভলু মাতব্বর বলেন, মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত চলছে তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।