মাদক পাচারের দায়ে অস্ট্রেলীয় নারীর মৃত্যুদণ্ড

মাদক চোরাচালানে দোষী সাব্যস্ত অস্ট্রেলীয় এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার একটি আদালত।

২০১৪ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ১ দশমিক ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন মাদকসহ মারিয়া এলভিরা পিন্টো এক্সপোস্ত (৫৪) নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে সব অভিযোগ থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। কিন্তু পরবর্তীতে আইনজীবীদের আপিলের পর আগের রায় বাতিল করা হয়।

মালয়েশিয়ায় মাদক চোরাচালানের শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা বাধ্যতামূলক।

‘ভালোবাসার অনুভূতি’

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চীনের সাংহাই শহর থেকে কুয়ালালামপুর হয়ে মেলবোর্নে যাওয়ার পথে এলভিরাকে গ্রেফতার করা হয়। তিন বছর কারাবন্দি থাকার পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই সময় তিনি আদালতকে বলেন, তার লাগেজে কীভাবে মাদক এসেছে সেব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।

এলভিরার আইনজীবী বলেছেন, ‘তাকে একটি অনলাইন রোমান্স কেলেঙ্কারির চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল এবং প্রতারণা করে তার লাগেজে মাদক ঢুকিয়ে দেয়া হয়।’

বিচারক তাকে ‘সহজ-সরল’ এবং তার ভালোবাসার অনুভূতি সবকিছু জয় করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। সেই সময় তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা আপিল করায় এলভিরাকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানের নির্দেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল আগের রায় বাতিল করে অস্ট্রেলীয় এই নারীকে মাদক পাচারের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন অভিযুক্ত এই নারী।

দেশটির আইন অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় ৫০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন সঙ্গে রাখার দায়ে যেকোনো ব্যক্তি অভিযুক্ত হতে পারেন।

সূত্র : বিবিসি