মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিধবা নারীকে বেঁধে গণধর্ষণ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী (১৩) ও এক বিধবা (৩৫) নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার সকালে এ দুটি ঘটনা ঘটেছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ওই মাদরাসা ছাত্রীর মা তাকে রেখে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। অপরদিকে তার বাবাও নদীতে মাছ শিকারে যায়। এ সুযোগে একই এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহাগ তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির বাবা বাড়িতে এলে মেয়ের চিৎকার শুনতে পায়। তিনি এগিয়ে গেলে ধর্ষক তাকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা শুক্রবার বিকেলে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অপর দিকে একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফুল কাচিয়া গ্রামের এক নারী (৩৫) স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে কষ্ট করে সংসার চালিয়ে আসছেন। শুক্রবার ভোরের দিকে তিনি তার মুরগির খামারের খাবার দিতে গেলে ওই এলাকার মাদক সেবী মাকসুদ, ছালাউদ্দিন ও আলমগীর তাকে পার্শ্ববর্তী গরুর খামারে নিয়ে হাত পা বেঁধে গণধর্ষণ করে। পরে সকালে স্থানীয়রা তাকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় ওই নারীর বড় বোন বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ভোলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সারজিনা জানান, ধর্ষিতাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে।

বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ওসি মো. এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদরাসা ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা ৩ জনকে আসামি করে থানায় দায়ের করেছেন। অপর ধর্ষণের ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি।