মানুষের আগেই মশারির ভেতর ঢুকে যাচ্ছে মশা

মশায় অতিষ্ঠ রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দারা। সবারই একটা কথা- দিনেরাতে মশার কামড়। বিকেল হতেই বাড়ে মশার উপদ্রব। রাতে তো মশারিতে মানুষ ঢুকার আগেই মশা ঢুকে যায়। রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা সুমন মাহামুদ বলেন, মশার কামড়ে চায়ের দোকানে বসার উপায় নেই। আর ঘরে তো মশারির মধ্যে মানুষ ঢুকার আগে মশা ঢুকে যাচ্ছে।

একই কথা জানান ফার্মগেট এলাকার সোহেব। তিনি তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী। থাকেন ইন্দ্রিরা রোড এলাকায় মেস বাসায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসায় দুই ভবনের মাঝের জায়গা থেকে প্রচুর মশা আসে। দিনেও বাসায় থাকা দায়।’

তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে মশার ওষুধ দেয়া হয় রাস্তার আশপাশে। কিন্তু দুই বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় যে মশার কী পরিমাণ বিস্তার হয়, সে দিকে কেউ নজর দেয় না।’

এদিকে কারওয়ান বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, মশার জন্য স্বাভাবিকভাবে বসতে খুব কষ্ট হয়। মশার উপদ্রব এতো বেড়েছে যে মশাবাহিত রোগের মহামারি দেখা দিতে পারে।

সবজি ব্যবসায়ী তুহিন বলেন, ‘কাগজ জ্বালাই রাত হলে। চারদিক ধোঁয়ায় ভরে যায়। কিন্তু কিছুতে কাজ হয় না। যতক্ষণ ধোঁয়া থাকে, ততক্ষণ মশা থাকে না। ধোঁয়া শেষ হতেই আবার মশা উপদ্রব শুরু হয়।’

কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও রাজাবাজার এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৫ এর অধীনে। নাগরিকদের মশা-সমস্যার বিষয়ে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা অজিয়র রহমান বলেন, ‘আমরা হটলাইন চালু করেছি। কোনো নাগরিক মশায় অতিষ্ঠ হলে, আমাদের জানাতে পারবেন। আমরা অবশ্যই মশা নিধন অভিযান চালাব।’

তিনি জানান, টানা দুই সপ্তাহ মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো হবে। সকালে ও বিকেলে দুই বেলা ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেয়া ছাড়া। সকালে ও বিকেলে ড্রেনে লার্বি সাইড মশার ওষুধ ছেটানো হবে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকা উত্তর সিটির এই কর্মকর্তা।