মানুষের তৈরি রোবটই কী মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করবে?

দিন দিন নতুন নতুন আবিষ্কারে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। মানুষের দৈনন্দিন কাজ সহজ করতে আবিষ্কার হচ্ছে নানা যন্ত্রপাতি। এর মধ্যে রোবট অন্যতম। এই রোবটকে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। আজকাল অনেক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে স্মার্ট রোবট।

এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় যে, আগামী ৫০ বছর কিংবা ১০০ বছর পর মানুষের জীবনধারায় আসবে আমূল পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিন্তু স্মার্ট রোবটের তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিকে যেমন মানুষের জন্য অনেক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে তেমনি মুহূর্তেই হয়ে উঠতে পারে আতঙ্কের কারণ। মানুষের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি মানুষের নির্দেশনা না শুনে মানুষকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে তাহলে তা হবে মানবজাতির ধ্বংসের কারণ!

আজকাল রোবট প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে ড্রোনে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ড্রোনই হয়ত একদিন পরিণত হতে পারে ক্ষেপণাস্ত্রে। মূলত কোনো কারণে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বুদ্ধি বিভ্রাট ঘটে তাহলে যে কোনো সময় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে পৃথিবীতে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তাই মানুষের শঙ্কা থাকাটাই স্বাভাবিক।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রযুক্তি যদি ভ্রষ্ট-নীতির কোনো রাষ্ট্র, যারা আন্তর্জাতিক আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না, তাদের কাছে কিংবা অপরাধীসহ সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায় তাহলে তার বড় ধরনের অপব্যবহার হতে পারে। আর একারণে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যখন তৈরি করা হচ্ছে তখন এর উদ্ভাবকদের একই সঙ্গে এমন জিনিসও তৈরি করতে হবে যাতে এর অপব্যবহার না হয়, আর হলেও সেটা যাতে মোকাবিলা করা যায় সে ব্যবস্থাও থাকতে হবে হাতে।