মায়ের পাশেই শেষ ঠিকানা হবে আইয়ুব বাচ্চুর

অনেকটা হুট করেই জীবন থেকে অবসর নিলেন বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তীতুল্য শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। তাঁর শেষ ঠিকানা হবে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশেই। বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এ কথা জানান।

নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘শুক্রবার বাদজুম্মা জাতীয় ঈদগাহে মরহুমের জানাজা হবে। পরশু দিন শনিবার চট্টগ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।’

আইয়ুব বাচ্চু আজ সকালে ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। স্কয়ার হাসপাতালের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. মির্জা নাজিমুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হার্ট অ্যাটাক হয় আইয়ুব বাচ্চুর। বাসাতেই সেটা হয়। ৯টা ৫৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।’

ডা. মির্জা আরো বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু বহুদিন থেকে হৃদরোগে ভুগছেন। এই রোগটির নাম কার্ডিও-মাইওপ্যাথি।’

হৃদরোগের কারণে আইয়ুব বাচ্চু গত কয়েক বছর বারবারই হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ২০০৯ সালে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে শেষ তিনি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন।

জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরুলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল অ্যালবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’,‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। সঙ্গীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক অ্যালবাম বের করেন।