মায়ের লাশের পাশে মেয়েকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

নওগাঁর মান্দায় মাকে গলাকেটে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েকে ধর্ষণ করার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ঘাতক ধর্ষক সামিউল ইসলাম সাগরকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত সাগর উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের চকশ্যামরা গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে।
নিহত গৃহবধূর (বয়স আনুমানিক ৪০ বছর) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বামী জানান, তিনি নাটোরের একটি ফার্মে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। বাড়িতে স্ত্রী ও ছোটমেয়ে এক সঙ্গে থাকত। সোমবার গভীর রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি।

মান্দা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে জানান, নিহতের ছোট মেয়ের সঙ্গে আটক সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। ঘটনার রাতে সেই মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি চাকু নিয়ে তাদের বাড়িতে যায় সাগর। বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে ছাদে উঠে অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় সাগর যৌন উত্তেজক পানীয় পান করে। পরে ছাদ থেকে নেমে তাদের ঘরে যায়। এসময় নিহত গৃহবধূ ও তার মেয়ে রীমা একইঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।

ওসি আরও জানান, সাগর ও সেই মেয়ে কথা বলার সময় নিহত গৃহবধূ জেগে ওঠেন। তখন সাগর চাকু দিয়ে তাকে একাধিক আঘাত করে। আঘাতে গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে জবাই করে হত্যা করে সাগর। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিহতের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাগর এ ধরণের তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

সাগর জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায়, অপরাধকর্ম সংঘটিত করে পায়ে হেঁটে বুড়িদহ খেয়াঘাটের বাঁশের সাকো দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি নদীতে ফেলে দিয়ে সে বাড়ি চলে আসে।

ওসি বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।