‘মা এমপিও দিন, না হয় গুলি করুন!’

‘মা এমপিও দিন, মা বেতন দিন, মা ভাত দিন, মা বেতন দিন, না হয় গুলি করুন’সহ বিভিন্ন প্লেকার্ড-ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশনকারী শিক্ষকরা। রোববার সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ আন্দোলন শুরু করেন। অনশন শুরুর পর থেকে খাওয়া-দাওয়া না করায় অনেকে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তবে তারা আন্দোলন থেকে সরে যেতে রাজি নন বলে জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বক্তৃতায় বলছিলেন, ‘আমাকে দিনে একাধিকবার ইনসুলিন নিতে হয়। কিন্তু অনশনে বসেছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আর ইনসুলিন নিব না, যদি মৃত্যুও হয়।’

আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার জানান, ‘আমাদের অন্দোলন অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেন। সকাল থেকে অনশন করার কারণে একটু দুর্বল হয়ে পড়েছে সবাই। কিন্তু আমরা মানসিকভাবে শক্তিশালী। দাবি আদায় না করে কেউ বাড়ি ফিরবো না।’

সরকারের সাথে আপনারা কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করছেন কি না জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ করলে সরকার আপোসের চেষ্টা করবে, কিন্তু আমরা সেটা চাই না।’

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি ২০০১ সাল থেকে বরিশাল জেলার অন্তর্গত জাল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বে আছি। আমার কলেজে দুইশরও অধিক ছাত্র আছে বর্তমানে। পূর্বে যারা পড়াশোনা শেষ করেছে, তারা বিসিএস ক্যাডার হচ্ছে আর আমি তাদের শিক্ষক হয়ে বেকার রয়ে গেছি।