‘মা সন্তানের জন্য যা করেন, নেত্রী আমার জন্য তাই করেছেন’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুই মাস ১১ দিন আগে আমার জীবন ছিল চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাঁচব কি-না এ নিয়ে সংশয় ছিল। সেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী- যিনি চরম সঙ্কটে মা তার সন্তানের জন্য যা করেন তিনি আমার জন্য তা-ই করেছেন, তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। যিনি মমতাময়ী মা, সত্যিই তার কাছে আমার ঋণের বোঝা বেড়ে গেল।

বুধবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জীবনটাই হলো স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা। আমরা এটা শিখেছি বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে। শেখ হাসিনার কাছ থেকে।

তিনি বলেন, একজন রাজনীতিকের সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা। আমি আমার কাজ ও ব্যবহারের মাধ্যমে তা অর্জন করতে পেরেছি। মানুষের ভালোবাসায়, দোয়ায় আজ আমি ২ মাস ১১ দিন পর দেশে ফিরতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা কোরআন শরিফ পড়ে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার কাছেও আমার কৃতজ্ঞতা।

তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ার পর নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। যদিও সে সময় আমি আমার মধ্যে ছিলাম না। আমি শুনেছি শেখ হাসিনা হাসপাতালে আমাকে নাম ধরে ডেকেছিলেন। আমি নাকি কেবল তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।

আবার নতুন উদ্যমে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে কাদের বলেন, আমি না থাকার পরও নেতাকর্মীরা ইউনিটি ধরে রেখে যেভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন- তা আমায় অভিভূত করেছে। আমরা এভাবেই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব।

এর আগে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুরের অস্থায়ী আবাস ছেড়ে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৮৫ ফ্লাইট বিকাল ৫টা ৫২ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে স্থানীয় সময় ৪টা ১০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে বোয়িং ৭৩৭-৮ই ৯ উড়োজাহাজটি। ৩ঘণ্টা ৪২ মিনিট উড়ালের পর নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট আগেই টার্মাক স্পর্শ করে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটটি।

এ সময় কাদেরকে স্বাগতম জানাতে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।