মিন্নির বাড়ির পাশে ঘর তুলে থাকছে পুলিশ

বরগুনায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে মিন্নির বাড়িতে পুলিশের তিনটি ডিউটি পোস্ট বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য। মিন্নির নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দশজন পুলিশ অবস্থান করছে।

সোমববার সকালে বরগুনা সদরের নয়াকাটা গ্রামে মিন্নিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের ঘরের সামনে পুলিশের থাকার জন্য নতুন করে একটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশের টিম সার্বক্ষণিক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির পেছনে দুটি এবং সামনে একটি টিনের চালা দিয়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে।

গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে হত্যার পরই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) এবং তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়। তবে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে একজন উপপরিদর্শক ও পরিদর্শকের নেতৃত্বে ৯ জন কনস্টেবল বাড়ির তিনটি ডিউটি পোস্টে অবস্থান করছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই মামলার ২ নম্বর আসামি এবং কিলিং মিশনের নেতৃত্বদানকারী রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে নতুন করে প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কলেজ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বেশ স্বাভাবিকভাবে খুনিদের পেছনে পেছনে হেটে যাচ্ছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

ভিডিওটি প্রকাশের পর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। মিন্নি রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরদিন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও পুলিশের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে ‘কো-অপারেট’ করছেন না মিন্নি। তার বাড়িতে গেলে সে ‘স্বামীর দুঃখে কাতর’ বলে পুলিশের সঙ্গে খুব বেশি কথা বলেনি। তবে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।