মিরাজের জোড়া আঘাত

শেষ ওয়ানডেতে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে হাশিম আমলাকে। ফলে কিছুটা হলেও নির্ভার বাংলাদেশ। অন্তত একজন ব্যাটসম্যান তো কমলো; কিন্তু কিসের কী! কুইন্টন ডি ককের সাথে টেম্বা বাভুমা ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলেছে ১১৯ রান। তাও মাত্র ১৭.৫ ওভারে। তবে এই ওপেনিং জুটি ভেঙ্গেছেন তৃতীয় ওয়ানডেতে এসে নাসির হোসেনের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে মিরাজের বল উঠিয়ে খেলতে যায় টেম্বা বাভূমা। বল চলে যায় ফাইন লেগ অঞ্চলে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে। ক্যাচ নিতে ভুল করেনি তিনি। ফলে ৪৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন বাভুমা।

টেম্বা ভাবুমাকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হলেন না মিরাজ। এরপর সাজঘরের পথ দেখালেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কককেও। ৬৮ বলে ৭৩ রান তুলে ফেলেছিলেন ডি কক। অবশেষে মিরাজের ঘূর্ণির কাছে পরাস্ত হয়ে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন ডি কক। মিরাজের বল মিড উইকেটের ওপর দিয়ে খেলতে যান প্রোটিয়া এই ওপেনার। বল উঠে যায় অনেক ওপরে। শেষ পর্যন্ত বল চলে যায় বোলারের হাতেই। ক্যাচটা লুফে নিতে ভুল করলেন না মিরাজ। ১৩২ রানে পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।

পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে খানিকটা খেলায় ফিরিয়ে এনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন ডু প্লেসিস এবং এইডেন মার্করাম। ১০ রানে অপরাজিত রয়েছেন ডু প্লেসিস এবং ৩ রানে মার্করাম। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ২২.৪ ওভারে ১৩৮ রান।

এর আগে, তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচে টস জিতেছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা; কিন্তু তার অধিনায়ক হিসেবে মাইলফলকের ৫০তম ম্যাচে ভাগ্য সহায় হয়নি। টস হেরেছে। টস জিতে প্রোটিয়া অধিনায়ক ডু প্লেসিস ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

এদিকে, ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তামিম ইকবাল খেলতে পারবে না আগেই জানা ছিল। তার পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। আর প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ নাসিরের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পান মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন।