মুক্তি মিলছেনা ঢাকাবাসীর

অপরিকল্পিত নগরায়ন আর অবৈধ দখলের কারণে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কয়েক লাখ মানুষের। বেসরকারি আবাসন এমনকি সরকারি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়েও খাল ভরাট করা হয়েছে মিরপুর ও খিলক্ষেত এলাকায়। জনপ্রতিনিধি ও ঢাকা ওয়াসা বলছে-জলাবদ্ধতা দূর করতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। বেদখল খাল উদ্ধারে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাগুলো।

বর্ষার শুরু থেকেই এমন জলাবদ্ধতা তৈরি হয় রাজধানীর খিলক্ষেত, নিকুঞ্জ এবং দক্ষিণখানে। স্থানীয়রা দাবি করেন-২০১৫ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর জলাশয় এবং পানি নিষ্কাশনের পথও বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠান নির্বিচারে জলাশয় ভরাট করায় পানি সরতে পারে না বলে উত্তরের কয়েকটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নবাসী দুর্ভোগ পোহান।

স্থানীয় কাউন্সিলর ও নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বালু নদী পর্যন্ত খাল খনন করা হবে। বন্ধ পাইপ লাইনের মুখ খুলে আপাতত পানি নিষ্কাশন চলছে।

রূপনগর খাল সচল না থাকায় মিরপুরেও জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বর্ষাকালে। স্থানীয়রা জানান, বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠানের কারণে অস্তিত্ব হারিয়েছে কয়েকটি খাল।

ঢাকা ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতরে খাল পুনর্খনন হলেও কিছু অবকাঠামো রয়ে গেছে কয়েকটি জায়গায়। তবে, চলতি মাসেই খালটি ওয়াসার কাছে হস্তান্তরের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা ওয়াসা জানায়, ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপ অনুযায়ী সবগুলো খাল উদ্ধারে কার্যক্রম চলবে।