মুশফিক-মুমিনুলের জোড়া ফিফটি

ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন বাঁহাতি মুমিনুল হক এবং ডানহাতি মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি গড়ার পথে দুজনেই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশত।

ইনিংসের ১২তম ওভারে দলীয় ২৬ রানের মাথায় তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। এরপরই শুরু হয় মুশফিক ও মুমিনুলের প্রতিরোধ। প্রথমে রয়ে সয়ে এবং পরে রানের চাকা সচল রেখে জুটির শতরান পূরণ করেছেন দুজনে।

ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল, মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ২০তম ফিফটি। ৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩২ রান। ১০০ বলে ৪ চারের মারে মুশফিকের সংগ্রহ ৫০ রান, ১০৭ বলে ৭ চারের মারে ৬২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুমিনুল।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন ইমরুল। ১৫টি বল মোকাবেলা করেও ব্যর্থ হন রানের খাতা খুলতে। ইনিংসের ৭ম ওভারের চতুর্থ বলে, নিজের মুখোমুখি ১৬তম ডেলিভারিতে জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।

ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে স্রেফ কচুকাটা করেছিলেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস। দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে গড়েছিলেন নতুন রেকর্ডও। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছেন না ৩১ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান।

সিলেটে প্রথম টেস্টে ব্যর্থতার পরে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন ইমরুল। তার দেখাদেখি খানিক পরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার লিটন দাসও। ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

ইমরুলের মতো অত নড়বড়ে না হলেও কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাতারাদের সুইংয়ের বিপক্ষে পেরে উঠছিলেন না লিটন দাসও। তবে রয়ে-সয়ে ৩৪ বল খেলে দেন তিনি। ইনিংসের ৯ম ওভারে জার্ভিসের বোলিংয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। ৩৫ বল থেকে ৭ রান করতে সক্ষম হন লিটন।

ওয়ানডে ক্রিকেটে পয়েন্ট অঞ্চল দিয়েই নিয়মিতই অনেক রান করেন তিনি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে লাল বলের ক্রিকেটে তিন স্লিপ ও গালি ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে পয়েন্ট অঞ্চলে রান করাটা যে কঠিন কাজ তা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।

যার ফলে হয়েছে যা হওয়ার তাই। নিজের অভিষেক ম্যাচে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। দশ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ে উইকেটে এসেছিলেন মিঠুন। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে আউট হয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান তিনি।

নিজের অভিষেক ইনিংসে মাত্র ৪ বল খেলতে পেরেছেন মিঠুন। ডানহাতি পেসার ডোনাল্ড তিরিপানোর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়েন ব্রেন্ডন টেইলরের হাতে। দেশের ইতিহাসের বিশতম ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির দেখান তিনি।