মৃত্যুবার্ষিকীতে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে শ্রদ্ধা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কবির পরিবার, রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা।

সোমবার ভোরে প্রথমে তার পরিবারের সদস্যরা সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় কবিকে বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তার সৃষ্টিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান কবির নাতনি খিলখিল কাজী।

তিনি বলেন, আজও নজরুল জীবনী ও রচনাবলি ইংরেজিতে প্রকাশ করা হল না এবং বিশ্বের দরবারে তাকে সেভাবে পৌঁছানোই হল না। তাকে শুধু তো বাংলার মধ্যে বেঁধে রাখলে চলবে না। বিশ্বের দরবারে তাকে পৌঁছে দিতে হবে। আর সে জন্যই সরকারসহ আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে অনুবাদের ব্যাপারে।

দিনের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

একে একে নজরুলের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে।

কবির প্রতি সম্মান জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন সংগঠন।

শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে আমরা উৎপাটিত করব দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। এটাই আজকে বিদ্রোহী কবি, জাতীয় কবির মহাপ্রয়াণ দিবসে আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের প্রত্যয়, আমাদের শপথ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আজকেও যেন সেই কলমের মধ্য দিয়ে, বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্যায় ও অনাচারের প্রতিবাদ করে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রকামী স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে এই দেশকে পুনরায় গড়ে তুলি।

নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিশিষ্ট নজরুল গবেষক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুলের সব সৃষ্টিকে সঠিকভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন।

তিনি বলেন, নজরুলের সমগ্র সৃষ্টিকে শুদ্ধভাবে অবিকৃতভাবে বর্তমান ও পরবর্তী জেনারেশন তাদের জন্য আমরা রেখে যাচ্ছি, যেটা আগে ছিল না। আমার ধারণা, এর মাধ্যমে নজরুল রচনাবলিকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু সংগীতের কাজটা দুরূহ।

দিবসটি উপলক্ষে কবির মাজার প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।