মৃত্যুর আগে কী বলে যায় অধিকাংশ মানুষ?

মৃত্যুর আগে মানুষ কি কোনো বিশেষ বার্তা বা ইঙ্গিত পেয়ে যায়? মৃত্যুশয্যায় রোগীদের পরিচর্যা করা নার্স বা সেবকদের অভিজ্ঞতা কী বলে? সম্প্রতি তেমন কিছু অভিজ্ঞতার কথাই উঠে এসেছে এক গবেষণায়।

দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ রোগীদের দেখাশোনা যারা করেন, তারা প্রায়ই খেয়াল করেছেন মৃত্যুর আগে রোগীরা তাদের মৃত্যু টের পেয়ে যান।

অনেকেই মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে টের পেয়ে যান যে তারা মারা যাচ্ছেন। একইভাবে অনেকে কয়েক দিন আগে বা কয়েক সপ্তাহ আগেও সে ঘটনা টের পেয়ে যান।

অনেক রোগী মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছা হিসেবে নিজের প্রিয়জন কিংবা পোষা প্রাণীকে দেখতে চান। অনেকে আবার এক কাপ চা বা প্রিয় কোনো পানীয় পান করতে চান।

মৃত্যুশয্যার রোগীদের দেখাশোনা করেন এমন একজন নার্সের নাম নিকি মরগ্যান। তিনি বলেন, এক রোগী জানান যে, আর কয়েক সপ্তাহ পরেই তার বয়স ৮০ হবে। এরপর তিনি মারা যাবেন। বাস্তবেও সেই রোগী ৮০ বছর বয়স হওয়ার পর মারা যান।

অন্য একজন নার্সের নাম লুইস মেসেই।

তিনি বলেন, এক রোগী অসুস্থ অবস্থায় আধা জাগ্রত-আধা ঘুম অবস্থায় পড়েছিলেন। এ সময় তিনি বলছিলেন যে, মৃত্যু হলে তিনি খুশি হবেন। কারণ তিনি একঝলক স্বর্গ বা বেহেস্ত দেখেছেন। সেটি খুবই দারুণ ছিল এবং তিনি মৃত্যুকে আর ভয় পাচ্ছিলেন না।
পশ্চিমা দেশগুলোতে মানুষ কুকুর পালতে খুবই পছন্দ করে। অনেক বয়স্ক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে তাদের কুকুরকে দেখতে চান। কুকুরকে শেষবারের মতো দেখে তারা অনেকেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। এরপর শান্তিতে মারা যান।

অনেকে মৃত্যু টের পেয়ে তাদের প্রিয় খাবার, পানীয় কিংবা এক কাপ চা পান করতে চান।

অনেক সময় রোগীরা তাদের প্রিয়জনদের দেখতে চান। অনেকেই দেখা করার পর এটি যে তাদের শেষ দেখা তেমনটা স্পষ্ট হয়।

এক বয়স্ক দম্পতির অভিজ্ঞতা জানান নার্স। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তারা। একদিন তারা উভয়েই একত্রে বিছানা চান। এরপর তারা হাত ধরে একত্রে একটা গানও গান। এরপর উভয়েই ১০ দিনের ব্যবধানে মারা যান।

সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট