মেঘনায় জাহাজ থেকে প্রকাশ্যেই পাচার হচ্ছে সরকারি তেল

ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে চোরাচালানী সিন্ডিকেট তেলপাচারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম থেকে নৌ-পথে ঢাকা ও খুলনাগামী সরকারি-বেসরকারি মালিকানাধীন তেল বহনকারী জাহাজ ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী অতিক্রমের সময় নির্দিষ্ট পয়েন্টে অবস্থান করে। এ সময় প্রকাশ্যেই জাহাজের লোকজন অবৈধভাবে ভোজ্য ও জ্বালানী তেলসহ অন্যান্য চোরাই সামগ্রী কমমূল্যে চোরকারবারীদের কাছে বিক্রি করে। গত দুই দিনে শতাধিক ব্যারেল তেল পাচার হওয়ার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতখান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বটতলা মাছঘাট এলাকায় গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চোরাকারবারী আ. হাকিম, মনির ও হারুন হাওলাদারের নেতৃত্বে জাহাজ থেকে ট্রলারে করে বটতলা মাছঘাট এলাকায় অবৈধভাবে সরকারী তেল এনে ব্যারেল ভর্তি করে ভ্যান-যোগে নিজস্ব গোডাউনে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গোডাউন থেকে এসব তেল বিক্রি করে ভোলা জেলার বিভিন্ন বাজারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, দৌলতখানের চৌকিঘাটা, পৌরসভার ১, ৩, ৬নং ওয়ার্ড ও মাছঘাট, বটতলা, স্লুইজ গেইটসহ বিভিন্ন জায়গা দিয়ে চোরাকারবারিরা অবাধে তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নামাচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন সরকারের কোটি-কোটি টাকার তেল পাচারের বিষয়টি এখন অনেকটাই হরহামেশা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন মেঘনায় জাহাজ থেকে তেল পাচার ও চোরাকারবারীর ঘঁটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যেই পুলিশ ৮ ব্যারেল তেল আটক করে থানায় জিডি করেছে।

তিনি আরো জানান, চোরাচালান রোধে পুলিশ সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এ চোরাচালান। এ চক্রের অনেকেরই রয়েছে পলিটিক্যাল কানেকশন। তারা দৌলতখানের চোরাই কারবার বন্ধে উর্ধতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও কামনা করছেন।