মেডিকেল টেস্ট থেকে চিকিৎসকদের কমিশন নেয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেডিকেল টেস্ট (ডায়াগনোসিস) থেকে চিকিৎসকরা ৪০ ভাগ কমিশন চিকিৎসক নেয়ার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংসদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডায়াগনোসিসের ৪০ ভাগ কমিশন চিকিৎসক নেন- এটা কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে ঘটতে পারে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তিনি জানান, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বর্তমানে ১২২টি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সার্বিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে জেলার ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়ে জরিপ করে নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মো. মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জনসংখ্যা রোধে সর্বোচ্চ দুই সন্তান গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে আইন প্রণয়ণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই। তবে দেশের জনসংখ্যা সীমিত রাখার জন্য এবং পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সর্বোচ্চ দুই সন্তান গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করতে বিভিন্ন কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অসহায় ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সে অনুযায়ী অসহায় ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যয় করা হচ্ছে।

মো. মুজিবুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে পাঠদানের জন্য শিক্ষক স্বল্পতা নিরসনে সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও লেকচারার পদে অনুমোদিত ৩ হাজার ৮২৯টি পদের বিপরীতে শূন্যপদ রয়েছে এক হাজার ৭৭২টি। যার নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।