মেসিকে ছাড়াই রিয়ালকে ৫ গোল দিল বার্সা!

নো মেসি, নো প্রব্লেম! সুয়ারেজ আছে না! ১১ বছর পর এল ক্লাসিকোতে নেই মেসি ও রোনালদো। ২০০৬ সালের পর এল ক্লাসিকোতে নেই কোনো আর্জেন্টাইন ফুটবলার। তবুও এল ক্লাসিকোর জৌলুশ এতটুকু কমেনি। ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে এক পেশে এল ক্লাসিকোতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রিয়ালকে ৫-১ ব্যবধানে হারালো বার্সেলোনা। মেসি নেই আর এই সুযোগেই নিজের ভয়ঙ্কর রূপ দেখালেন লুইস সুয়ারেজ। মূলত তার একার কাছেই হেরে বসে রিয়াল।

বার্সা খেলোয়াড়দের সঙ্গে এদিন ঠিকই মাঠে এসেছিলেন মেসি তবে বসেছিলেন দর্শক সারিতে। ছেলে থিয়াগোকে নিয়ে উৎফুল্ল মনে উপভোগ করেন বার্সেলোনার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।

ম্যাচের শুরু থেকে পুরো মাঝমাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকে ভালভার্দের দল। ১১ মিনিটে বা পাশ দিয়ে জর্দি আলবার ক্রসে বার্সাকে প্রথমেই এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন ফিলিপে কৌতিনহো।

১৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে আর্থারের নেওয়া বুলেট গতির শট রুখে দেন থিবো কুর্তোয়া। ২৮ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় বার্সা। ডি বক্সের ভেতর সুয়ারেজকে ফাউল করেন ভারানে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি না বাজালেও ভিএআরের মাধ্যমে ঠিকই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন তিনি। এল ক্লাসিকো ইতিহাসে এটিই ভিএআরের মাধ্যমে দেওয়া প্রথম পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। স্পট কিক থেকে বার্সাকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। প্রথমার্ধে আর তেমন গোল না হলে দুই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বার্সা।

বিরতিতে থেকে ফিরে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে বার্সা। এই সুযোগে মার্সেলো রিয়ালের হয়ে ৫০ মিনিটে এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন। ৬০ মিনিটে সুয়ারেজের শট গোলবারের প্রতিহত না হলে এগিয়ে যেতে পারতো বার্সা।

তবে বার্সাকে তৃতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৭৫ মিনিটে সার্জি রবের্তোর পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল এবং বার্সার হয়ে তৃতীয় গোলটি করে রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন তিনি। হ্যাটট্রিক পেতেও দেরি হয়নি এই উরুগুয়ইয়ান ফুটবলারের।

৮৩ মিনিটে সার্জিও রামোসের ভুলে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। মেসিকে ছাড়াই রিয়ালকে এক হালি গোল দেওয়ার গৌরব অর্জন করে বার্সেলোনা। ১২তম বার্সেলোনা খেলোয়াড় এবং সবমিলিয়ে ২৫তম খেলোয়াড় হিসেবে এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করলেন সুয়ারেজ।

বার্সেলোনার আক্রমণে নাস্তানবুদ হয়ে পড়ে রিয়াল। সেই সুযোগ দেম্বেলের বা পাশ থেকে বাড়ানো ক্রসে বার্সার হয়ে পঞ্চম গোলটি করে রিয়ালকে লজ্জার হার উপহার দেন চিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্তুরু ভিদাল। ২০১০ সালের পর আরো একবার বার্সার কাছে ৫ গোল খেলো রিয়াল। ২০০৯ সালের পর লা লিগায় টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখলো রিয়াল মাদ্রিদ। সব মিলিয়ে টানা ৪টি এওয়ে ম্যাচে জয়হীন রিয়াল। অন্যদিকে, এই জয়ে লা লিগার শীর্ষস্থানটি পাকাপোক্ত করলো বার্সেলোনা।