মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির দুই মামলা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির দুই মামলা দায়ের হয়েছে। মমতাজ ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দু’টি দায়ের করেন।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মাজহারুল হকের আদালতে ৫ কোটি টাকা মানহানি হয়েছে বলে শাস্তি চেয়ে এবং ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতে মানহানির ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি দায়ের করেন বাদী।

বাদীর আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূইয়া বলেন, মামলার বাদী মমতাজ ইসলামের শাহবাগ থানার ৯/৫, সেক্রেটারিয়েট (আনন্দবাজার) একটি জায়গা আছে। ওই জায়গায় আদালতের ‘স্থিতি অবস্থা’র আদেশ থাকা সত্ত্বেও সাঈদ খোকন বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উচ্ছেদের হুমকিসহ অপমান করেন। এ কারণে তিনি মেয়রের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে দু’টি মামলার আবেদন করেন।

তিনি আরও বলেন, চতুর্থ সহকারী জজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর একটি সমন্বয় সভায় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আনন্দবাজার এলাকার ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ড হস্তান্তর করার জন্য উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আনন্দবাজারে রেলওয়ের জায়গা আছে। এই জায়গায় ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ড স্থাপনের লক্ষ্যে শিগগিরই উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করা হবে।বাদীর এই ধরনের বক্তব্য পরের দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

মেয়রের এ বক্তব্যে বাদীর বিভিন্ন আবাসিক ও দোকানের মালিক এবং কর্মচারীরা ভয়ে ভীত হয়ে ব্যবসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। অনেকেই বাসা ভাড়া ছাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকি প্রদান করে। বিবাদীর এই বক্তব্যের কারণে বাদীর ৫ কোটি টাকার মানহানি হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, মামলার বাদী মমতাজ ইসলাম শাহবাগ থানার ৯/৫, সেক্রেটারিয়েট (আনন্দবাজার) এলাকায় ৪.১৭ একর জমি মালিক এবং দখল করে আছেন। ২০১১ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ে তা উচ্ছেদ করতে চাইলে হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন এবং আদালতের আশ্রয় নিতে বলেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাদীকে উচ্ছেদ করতে চাইলে আবারও হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এবং ২০১৩ সালের ৭ জুলাই উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিট পিটিশনটি কিছু অবজারবেশনসহ নিষ্পত্তি করেন আদালত।

রিট পিটিশনের আপিল বিভাগের আদেশ না রেলওয়ে এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে।