মোদির গদি নাড়াতে যাচ্ছেন যে তিন নারী

তারা তিনজনই ক্ষমতাবান নারী রাজনীতিবিদ। ভারতের তিনটি ভিন্ন সমাজ থেকে উঠে এসেছেন। আগামী মে’তে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এই তিন নারীই হতে পারেন নরেন্দ্র মোদির দুঃস্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার যে স্বপ্ন দেখছেন সেই স্বপ্নের মুখে ছাই ঢেলে দিতে পারেন এই তিন নারী।

প্রথমজন হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম আলোচিত নেহেরু-গান্ধী পরিবারের অংশ তিনি। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের শাসনের অবসানের পর ভারত শাসন করে আসছে এই পরিবার। লোকসভা নির্বাচেনর আগে বড় চমক ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে আনে কংগ্রেসে। দেশটির সবচেয়ে জনবহুল উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে।

মোদির জন্য আতঙ্ক হয়ে ওঠা বাকি দু’জন হলেন অগ্নিকন্যা হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আর উত্তর প্রদেশের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। তারা দু’জনই ক্ষমতাসীন মোদির ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালিয়েন্সকে ক্ষমতা থেকে নামাতে বড় বিরোধী জোট তৈরি করছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে বলিষ্ঠ কোনো চুক্তি হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ১৯৯৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে গড়ে তোলেন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে বিজেপির বিরোধিতায় নেমেছেন। গত মাসে কলকাতায় বিজেপিবিরোধী এক বিশাল সমাবেশ করে সারা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তার সেই সমাবেশে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বর্তমান ও সাবেক মূখ্যমন্ত্রীসহ অনেক নামকরা রাজনীতিবিদ যোগ দিয়েছেন।

উত্তর প্রদেশের হিন্দু দলিতদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় নেত্রী মায়াবতী। তিনিও মোদির জন্য আরেক আতঙ্ক। গত মাসে তার বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) জোট গড়েছে এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির (এসপি) অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। তবে কংগ্রেসকে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা নাকচ করে দিয়েছেন এই দুই হেভিওয়েট নেতা।