মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন?

নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এখন শুধু সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিকতা বাকি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৯ মে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি।

তবে শপথ গ্রহণের দিন চূড়ান্ত না হলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মোদি। এখানেই হয়তো সিদ্ধান্ত হবে কেমন হবে তার মন্ত্রিসভার আকার বা কারা থাকছেন তার নতুন মন্ত্রিসভায়।

এনডিটিভি জানায়, ২০১৪ প্রথমবার শপথগ্রহণের সময় সার্ক দেশগুলোকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেই তালিকায় ছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও।

দ্বিতীয়বার জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতা, সেই তালিকায় রয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও।

মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্য আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দলের সভাপতি অমিত শাহ আগ্রহী বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গে এবার বড় জয় পেয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গ এবার গুরুত্ব পাবে সরকারে। সেখানে জয়ী বিজেপির ১৮ জন, তাদের অনেকেই মন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষার দায়িত্বে কারা থাকবেন সে বিষয়ে এখনও খোলাসা করেননি প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহ।

অরুণ জেটলিকে আবারও অর্থমন্ত্রকে রাখা হবে কিনা সেটি দেখার বিষয়। যেহেতু তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নয়, সেই অবস্থাতেই তিনি থেকে যাবেন কিনা বা পিযুষ গোয়েলকে রেল এবং কয়লা মন্ত্রণালয়ে রাখা হবে কিনা, তা নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। দু’বার জেটলির জায়গায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন পিযুষ গোয়েল।

অন্যদিকে আমেথিতে রাহুল গান্ধীকে হারানো স্মৃতি ইরানিকে বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কোনো মন্ত্রণালয়ে আনা হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। আমেথি থেকে তিনবারের সাংসদ ছিলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দাঁড়ালেও হেরে যান স্মৃতি ইরানি।

জয়লাভের পর শুক্রবার ট্যুইটারে স্মৃতি ইরানি লিখেছেন, আমেথির জন্য নতুন সকাল, নতুন অঙ্গীকার। আপনারা উন্নয়নের পক্ষে ভরসা রেখেছেন, আমেথির প্রতি কৃতজ্ঞ।

মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন এখন শুধু তা দেখার অপেক্ষা। তবে আজকের বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির কাছে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সমাপ্তি হবে ১৬তম লোকসভার।

নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে নতুন নির্বাচিত সাংসদদের তালিকা তুলে দেবে নির্বাচন কমিশন, তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭তম লোকসভার সূচনা এবং শপথগ্রহণ হবে।