মোদি ট্রাম্পের কাণ্ড: জনপ্রিয় প্রমাণে লাখ লাখ ভুয়া ফলোয়ার তৈরি

নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করার জন্য সামাজিকমাধ্যমে লাখ লাখ ভুয়া ফলোয়ার তৈরি করেছেন বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিরা।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুয়া ফলোয়ার তৈরি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পোপ ফ্রান্সিস, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ।

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ভুয়া ফলোয়ার তৈরিকারী সাতজন সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রেটির তথ্য তুলে ধরা হল।

ভুয়া ফলোয়ারে এক নম্বর মোদি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বরাবরই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ বারাক ওবামার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মধুর৷ মোদির লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হয়ে ওঠা৷ অন্য বিষয়ে না হলেও একটি বিষয়ে অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি৷ সমীক্ষা বলছে, টুইটারে সবচেয়ে বেশি নকল বা ভুয়া ফলোয়ার আছে মোদির৷ সব মিলিয়ে যার সংখ্যা ৬০ শতাংশ৷

দ্বিতীয় পোপ ফ্রান্সিস নরেন্দ্র মোদির চেয়ে খুব পিছিয়ে নেই ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস৷ এমনিতেই পোপ ফ্রান্সিসের বিপুল সমর্থন৷ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি৷ এমন কিছু কাজ করেছেন, এতদিন পর্যন্ত কোনো পোপের কাছ থেকে মানুষ যা কল্পনাও করেননি৷ অনেক বেশি মাটির মানুষ তিনি৷ কিন্তু তাই বলে টুইটারে ভুয়া ফলোয়ার? ফ্রান্সিসের ভুয়া ফলোয়ারের সংখ্যা ৫৯ শতাংশ৷

পেনা নিয়েটো তিন নম্বর মেক্সিকোর জনপ্রিয় রাজনীতিক এনরিক পেনা নিয়েটো৷ এ মুহূর্তে তিনি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট৷ তাকে ঘিরে যেমন বহু বিতর্ক আছে, আবার তার প্রতি সমর্থনের জোয়ারও কম নয়৷ অনেকেই ভাবতে পারেননি সমর্থন প্রচারের জন্য তিনিও টুইটারে ভুয়া ফলোয়ারের সাহায্য নেবেন৷ তার ভুয়া ফলোয়ারের সংখ্যা ৪৭ শতাংশ৷

কিম কার্দাশিয়ান চতুর্থ

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোর উপস্থাপক কিম কার্দাশিয়ান ওয়েস্ট৷ তবে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলেন প্যারিস হিল্টনের বন্ধু হিসেবে৷ নিয়মিত টুইট করেন কিম৷ টুইটে তাকে ফলো করেন বহু মানুষ৷ কিন্তু জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য তাকেও যে ভুয়া ফলোয়ারের আশ্রয় নিতে হয়, জানতেন না অনেকেই৷ তার ভুয়া ফলোয়ারের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ৷

পঞ্চম ভুয়ার তালিকায় ট্রাম্প

ভুয়া ফলোয়ারের শতাংশের বিচারে পাঁচ নম্বরে হলেও সংখ্যার বিচারে এক নম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ টুইটারে ট্রাম্পের অনুসারীর সংখ্যা ৪৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন৷ সমীক্ষা বলছে, এর মধ্যে ৩৭ শতাংশই ভুয়া৷ প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেও নিজের ফলোয়ারের সংখ্যা নিয়ে বড়াই করতেন ট্রাম্প৷ দেখাতেন তার ফলোয়ার সংখ্যা৷ বোঝাই যাচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে সেই জনপ্রিয়তা তৈরি করেছিলেন তিনি৷

টেইলর সুইফট সাত

মার্কিন পপ দুনিয়ায় এ মুহূর্তে কার্যত রাজত্ব করছেন গায়ক এবং কম্পোজার টেইলর সুইফট৷ অসম্ভব জনপ্রিয়তা তার৷ নিয়মিত টুইটও করেন টেইলর৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে তার ১৯ শতাংশ ফলোয়ারই আসলে ভুয়া৷

ভুয়ার কারবারি সৌদি রাজাও

সালমান বিন আবদুল আজিজ সৌদি আরবের রাজা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মসজিদের রক্ষাকর্তা৷ আরব দুনিয়ায় তার ক্ষমতা প্রশ্নাতীত৷ সালমান অব সৌদি আরবিয়া ইদানীং সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও নিয়মিত পোস্ট করেন৷ টুইটে তার ফলোয়ারের সংখ্যা নেহাত কম নয়৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তিনিও ভুয়া ফলোয়ার তৈরি করেছেন৷ তথ্য বলছে, ৮ শতাংশ ভুয়া ফলোয়ার আছে সালমানের৷