মোহাম্মদপুরে চলন্ত প্রাইভেটকারে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক তরুণীকে প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণের চেষ্টার সময় চিৎকারে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেছে পথচারীরা। গণপিটুনি দেয়া হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে।

মদ্যপ ওই যুবক ও তার গাড়িচালককে পিটিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ধর্ষণের চেষ্টায় থাকা ওই ব্যক্তির নাম ‘র’ অদ্যাক্ষরের। তিনি দুই সন্তানের পিতা।

তরুণী জানিয়েছেন, ওই লোকটি তাকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন।

শনিবার দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, একটু গভীর রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে। কারণ সে সময় আশপাশের ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ ছিল।

মেয়েটিকে উদ্ধারকর্তা তরুণদের একজন ভিডিও করে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়েছেন। আর ঘটনার বর্ণনাও তিনি দিয়েছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনা অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে তারা।

ঘটনার সময় উপস্থিত রাফি আহমেদ তার ফেসবুক পেজে সেহরির সময় দুটি ভিডিও পোস্ট করেন। এরপরই সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

রাফি জানান, মোহাম্মদপুর, কলেজগেট সিগনালে ঠিক আমার সামনের প্রাইভেটকারটিতে কিছু একটা হচ্ছে বলে ধারণা করছিলেন তিনি। পরে লক্ষ্য করেন, গাড়ির পেছনের সিটে থাকা ছেলেটি একটি মেয়ের সাথে ধস্তাধস্তি করছে।

বিষয়টি সন্দেহ হলে অনেকে এগিয়ে যায়। এ সময় চালক দ্রুত গাড়িটি নিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাস্তায় যানজট থাকায় গাড়িটি বেশি দূর যেতে পারেনি।

পরে গাড়িটি ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এ সময় তারা প্রাইভেটকারটির কাছে গিয়ে দরজা খুলতে বললে তারা গাড়ির দরজা খুলতে চায় না। পরে চাপের মুখে দরজা খোলা হয়।

এ সময় পেছনের সিটে থাকা ওই যুবক নগ্ন ছিলেন। পরে প্যান্ট পরিয়ে তাকে বাইরে বের করে আনা হয় এবং ওই তরুণীকে অন্য নারী বাইরে বের করে আনতে সাহায্য করেন।

রাফি লিখেন, ওই যুবক নেশাগ্রস্ত ছিলেন। পরে জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে নগ্ন করে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় গাড়ির চালক ও তিনি সে অবস্থতেই পালিয়ে যান।

গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ ২৯-৫৪১৪। কারটির মালিকের নাম মো. বাহাউদ্দিন বাহার। গাড়িটির চেসিস নম্বর ০০৯২২৪৯ এবং ইঞ্জিন নম্বর ৩২৯৪৫৯০।

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল গণেশ বিশ্বাস জানান, ‘এই বিষয় আমার জানা নেই। আর থানায় কেউ অভিযোগও দিতে আসেনি।’

তেজগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘আমি ঘটনার ভিডিওটি দেখেছি। মাঠে নেমেছে পুলিশ। আশা করি ঘটনার বিস্তারিত দ্রুত বের করতে পারব।’