ম্যাচ ফিক্সিং করে কত টাকা পেতে পারেন একজন ক্রিকেটার?

‘ভদ্রলোকের খেলা’ ক্রিকেটের অন্ধকার দিকের নাম ম্যাচ ফিক্সিং। ক্যারিয়ার কিংবা দেশের কথা না ভেবে জুয়াড়িদের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দেন অনেক ক্রিকেটার।

কেবল টাকার বিনিময়ে। কিন্তু ফিক্সিংয়ে নাম লিখিয়ে কত টাকা পেতে পারেন একজন ক্রিকেটার? সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য সান’ এর অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য!

দ্য সানের ছদ্মবেশী সাংবাদিকদের কাছে দুই ভারতীয় জুয়াড়ির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আইপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একটি ওয়াইড বল করার জন্য কোনো এক বোলারকে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ২ কোটি টাকা! অসৎ ক্রিকেটারদের আয় কত তা বোঝানোর জন্য এই একটি উদাহরণই যথেষ্ট।

আর সৎ ক্রিকেটারদের আয়ের দিকে একটু তাকানো যাক। ভারতের সবচেয়ে বড় তারকা; যেমন বিরাট কোহালি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা এই মুহূর্তে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি থেকে সারা বছরে ২ কোটি টাকা রিটেনার ফি পান। এর সঙ্গে প্রত্যেক ম্যাচের জন্য আলাদা করে ম্যাচ ফি পান তারা। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা ম্যাচ ফি রয়েছে।

ওভারের শেষ বলে উইকেট হারানোটা স্পট ফিক্সিংয়ে এখন খুবই জনপ্রিয় বলে জানা গেছে। এর উপরেই কোটি কোটি টাকার বেটিং হতে পারে। আইপিএলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সংকেতের আদান-প্রদানের ব্যাপারটিও খুব জোরালোভাবে মেনে চলা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় জুয়াড়িরা।

এ ব্যাপারে ক্রিকেটারদের কাছে নাকি আগে থেকেই পরিষ্কার বার্তা চলে যায়। কখনও ক্রিকেটারেরা পরেন লাল রংয়ের ঘড়ি। আবার কখনও হাফ স্লিভ ছেড়ে ফুল স্লিভ টি-শার্ট পরে বল করতে আসেন কেউ।

সাধারণ দর্শকদের মনে হতে পারে, হয়তো শীত লাগছে বলে বোলার পাল্টে নিলেন গায়ের জামা। কিন্তু গ্যালারিতে বসে থাকা জুয়াড়িদের প্রতিনিধি ঠিকই বুঝে গেলেন, সেই জার্সিটা আসলে একটা সিগন্যাল। অর্থাৎ বেটিংয়ে রাজী আছেন ক্রিকেটার। আগে থেকে সেই ক্রিকেটারের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘স্ক্রিপ্ট’। কোন ওভারে কত রান দিতে হবে, সেই অনুযায়ী তাকে বোলিং করতে হবে।

ক্রিকেট প্রায়শই একটা ঘটনা দেখা যায়, বোলার বল করতে দৌড় শুরু করেও মাঝপথে থেমে গেলেন। আবার ফিরে যাচ্ছেন বোলিং প্রান্তে। এতদিন মনে করা হতো, ছন্দ পাচ্ছেন না বলে বোলার থেমে গেছেন। দলের প্রতি দায়িত্বশীল এই বোলার বাজে বল করতে চান না। কিন্তু কেউ কি ভেবেছে, এটা জুয়াড়িদের জন্য সবুজ সংকেত! গ্যালারিতে বসে আছে জুয়াড়ি। এটা তার জন্য ইশারা।