ম্যাচ সেরার চেয়ে দল জেতায় বেশি খুশি কৌতিনহো

তিতের সঙ্গে হাসিমুখে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকলেন ফিলিপে কৌতিনহো। তার গোলেই ইনজুরি সময়ে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। পরে নেইমার গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। কিন্তু ব্রাজিলের সমর্থকদের কাছে কৌতিনহোর গোলটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোস্টারিকার জমাট ডিফেন্স তছনছ করেও যখন গোলমুখ খুলতে পারছিল না ব্রাজিল, তখন ত্রাতার ভূমিকায় ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের মুখে হাসি ফোটান এ তরুণ ফুটবলার।

সংবাদ সম্মেলন পরিচালনকারী ফিফার অফিসিয়াল আগেই জানিয়ে দিলেন, শুরুতেই কৌতিনহোকে মাত্র দুটি প্রশ্ন করতে পারবেন। তারপর সে চলে গেলে ব্রাজিল কোচ ম্যাচ নিয়ে বিস্তারিত বলবেন।

শুরুতেই সেরা খেলোয়াড় কৌতিনহো বলেন, ‘কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। প্রথম মিনিট থেকেই আমরা গোলের জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু গোল পাচ্ছিলাম না। কোস্টারিকা ভালো দল। তারা ভালো খেলেছে। বিশেষ করে তারা রক্ষণভাগ আগলে রেখে খেলেছে। মাঝ মাঠেও তারা মাঝে মধ্যে ভালো খেলেছে। আমরা শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ে জিতেছি।’

ম্যাচের সেরা হয়েছেন? আপনার প্রতিক্রিয়া কি? ‘যে কেউ ম্যাচসেরা পুরস্কার পেলে খুশি হবে। আমিও হয়েছি। কিন্তু আমি বেশি খুশি দল জেতায়। জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি, সেটা আমার কাছে বেশি ভালো লাগার। ম্যাচ সেরা হওয়ার চেয়ে দলের জয় আমাকে বেশি খুশি করেছে’-সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ফিলিপে কৌতিনহো।

গোলের জন্য আপনাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হলো। আপনার কি মনে হয় না আগেই গোল হওয়া উচিত ছিল? ‘ফুটবলে যে কোনো সময় গোল হতে পারে। আপনি শুরুতে গোল করেন আর শেষ দিকে, লড়াই কিন্তু ৯০ মিনিটই করতে হবে। আমরা শুরু থেকে গোল আদায়ের চেষ্টা করেছি। পেরেছি শেষের দিকে। আবারও বলছি, আমরা জিতেছি এটাই গুরুত্বপূর্ণ’-বলেন কৌতিনহো।

দুই গোলের শেষটি নেইমারের। দলের প্রধান তারকা সম্পর্কে কৌতিনহো বলেছেন, ‘সবাই জানি যে, নেইমার কঠিন এক ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছে। তার ফেরায় আমরা সবাই খুশি। সে মাঠের মধ্যমনি ছিলো। ভালো খেলেছে, গোলও করেছে।’

যখন গোলহীনভাবে ৯০ মিনিট পার হলো, তখন নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তা ভর করেছিল? কৌতিনহো বললেন, মানসিকভাবে কখনই ভেঙে পড়েননি তারা, ‘যখন কেউ জাতীয় দলে খেলেন, তাকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হয়। সেটা ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। আমরা শক্তই ছিলাম। গোল বের হচ্ছিল না। কিন্তু আমরা কখনো আশা ছাড়িনি।’