ম্যাচ সেরার পুরস্কার মুশফিকের হাতে

ভাঙা কোমর নিয়েও যেভাবে খেলে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহীম, সেটা যে কারও কাছে বিস্ময়কর মনে হতে পারে। ব্যথার কারণে বার বার পাঁজরে হাত দিতে দেখা যাচ্ছিল। তবুও গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে তিনি যেভাবে সরফরাজ আহমেদকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দী করলেন, সেটাও অবিশ্বাস্য।

ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন অতি মানবীয় ১৪৪ রানের ইনিংস। ফাইনালে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নেই সাকিব-তামিমের কেউই। টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। বাংলাদেশকে খেলায় ধরে রাখবেন কে। ভরসা সেই মুশফিক। অবশেষে তার ব্যাট আবারও কথা বললো।

মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। তবে তার ৯৯ রানের ইনিংসটিই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সামনে বাংলাদেশের রান চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিয়ে এলো। ছুঁড়ে দিলো ২৪০ রানের লক্ষ্য।

বল হাতে মোস্তাফিজ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মিরাজ তো বোলিংয়ে এবং ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত। তবুও ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার উঠলো ৯৯ রান করা মুশফিকের হাতে। ওই ইনিংসটি খেলে যে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ লড়াইয়ে রেখেছিলেন তিনি। সুতরাং, ম্যাচ সেরার পুরস্কার তো তার হাতেই ওঠার কথা।